পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন না দিয়ে তার আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। আগামী ১ আগস্ট আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। গত ২৪ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে বহাল থাকা ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি মোহাম্মদ সেলিম। আপিলে ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস চান তিনি। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেন। গত ২২ মে হাইকোর্টের আদেশে হাজি সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
গত বছরের ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেওয়া হয় তাকে। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ওই দিন বলেছিলেন, দুদক আইনে (২৬-এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের চার অভিযোগে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালত তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজি সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়। একইসঙ্গে যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেওয়া হয় তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর বিচারিক আদালতে থাকা সব নথি (এলসিআর) তলব করেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।