পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে চালের অন্যতম বড় পাইকারী বাজার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট। চালের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজার তদারকি করতে অভিযানে আসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে এই খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালের আড়তের গদি থেকে উধাও হয়ে যান বেশিরভাগ পাইকারী ব্যবসায়ী।
গতকাল শুক্রবার সকালে অভিযান শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর। এতে নেতৃত্ব দেন উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক (অভিযোগ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামা। বিকাশ চন্দ্র দাস কৃষি মার্কেটের চালের বাজার পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ দোকানে মূল্যতালিকা নেই, চাল কেনার রশিদ নেই, নেই ভাউচার- এমন অভিযোগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর। তিনি বলেন, মিল মালিক ও আড়তে অভিযানের ফলে প্রমাণ মিলেছে পরস্পরের যোগসাজসে চালের দাম বেড়েছে। অভিযান শুরুর খবর পেয়েই কৃষি মার্কেটের অনেক চাল ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের দিয়েই শুরু হবে আগামীতে অভিযান। গুরুতর অভিযোগ পেলে নিয়মিত মামলা ও লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তবে অভিযোগ রয়েছে চাল ব্যবসায়ীদেরও। তারা বলেন, মিলে দাম বাড়ানোর কারণে তাদের বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহের ব্যবধানে চালের বাজারে দামের হেরফের রয়েছে। প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, কেউ আইনের বাইরে না। আজকে পালিয়ে গেলেও কাল পালিয়ে থাকতে পারবে না। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে তারা পালিয়ে যেতে পারবে না। অভিযান আজই শেষ নয়, অভিযান নিয়মিত চলবে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আজকের অভিযানে চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে আনোয়ার ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার, মদিনা রাইস এজেন্সিকে ৫০ হাজার, সততা ট্রেডারসকে ৫০ হাজার ও সাইকা রাইস এজেন্সি নামের প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দেশের চালের বাজারে চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে, এই খবর পেয়ে শত শত চালের বস্তা দোকানে রেখেই পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ চালের দাম উর্ধ্বমুখী। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতনরাও অবগত রয়েছেন। চালের উৎপাদন মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে গত সপ্তাহেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা একযোগে মাঠে নেমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।