Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেপালে জাতিসংঘ প্রণীত কর্মপরিকল্পনার ১০ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠান

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে আর্টিকেল নাইনটিনের আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সাংবাদিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ২০১২ সালে জাতিসংঘ প্রণীত কর্মপরিকল্পনাটি (প্ল্যান অব অ্যাকশান) সংশোধন করে সময়োপযোগী করার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার অধিকার প্রসারে কাজ করা এই সংস্থাটি মনে করে, পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির আলোকে এক দশক পুরানো এই আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনাটি সংশোধন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ডিজিটাল যুগের উত্থান, কোভিড মহামারি, আফগানিস্তানের পটপরিবর্তন, ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য সমসাময়িক ইস্যু, চাহিদা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের কর্মপরিকল্পনা (ইউএনপিএ) বিষয়ক সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কনসালটেশনে আর্টিকেল নাইনটিন এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে। কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ১০ম বার্ষিকীতে নেপাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং নেপালি সাংবাদিক ফেডারেশনের সহযোগিতায় ইউনেস্কোর নয়াদিল্লি ও কাঠমান্ডু কার্যালয় গত ৩১ মে ও ১ জুন যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই পরামর্শ সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান এবং নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই পরামর্শ সভায় সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমে নীতিনির্ধারক, মিডিয়া শিক্ষাবিদ, বিচার বিভাগ এবং আইন বিশেষজ্ঞ, ইন্টারনেট ব্যবসার অংশীজন, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইউএনপিএর বর্তমান বাস্তবায়ন অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা গত এক দশকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ইউএনপিএর বাস্তবায়ন তথা এর প্রধান তিনটি দিক: প্রতিরোধ, সুরক্ষা, বিচারের সম্মুখীন করার ক্ষেত্রে সাফল্য ও চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করেন। একইসঙ্গে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরে মানুষের জানার অধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং সঠিক তথ্যের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সাংবাদিকদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ও চ্যালেঞ্জের ধরন একই রকম। এগুলো হলো দায়মুক্তি, হুমকি এবং ভীতি প্রদর্শন, সেল্ফ-সেন্সরশিপ, আইনি হয়রানি, শারীরিক আক্রমণ, অনলাইন হয়রানি, ট্রলিং, মানসিক স্বাস্থ্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাব। পরিস্থিতির উন্নয়নে অনুষ্ঠানে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো- সচেতনতা বাড়ানো, সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অধিকার লঙ্ঘনের প্রামাণ্য ডকুমেন্টেশন, দায়মুক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করা। এছাড়া আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ ও প্রতিশ্রæতি পূরণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও এর বিচার ব্যবস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।
আর্টিকেল নাইনটিন সাংবাদিকদের সুরক্ষা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে সংস্থাটি বাস্তবায়িত বৈশ্বিক প্রকল্প 'ইক্যুয়ালি সেফ: টুওয়ার্ডস এ ফেমিনিস্ট এজেন্ডা ফর দ্য সেফটি অব জার্নালিস্টস এর বিভিন্ন দিক অনুষ্ঠানে তুলে ধরে। কেস স্টাডি পরিচালনার মাধ্যমে প্রকল্পটি দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর দক্ষিণ এশীয় যোগাযোগ ও তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হেজকিয়েল দলামিনি, আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল, জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ভুটানের নির্বাহী পরিচালক নামগে জাম, আর্টিকেল নাইনটিনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুমকি ফারহানা বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ