পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে আলোচিত তিন মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত, নিজাম উদ্দিন কায়সার ও মনিরুল হক সাক্কুকে নিয়ে ভোটারদের ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত দলীয় প্রতীক নির্ভর হলেও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বিএনপি ঘরণার নেতা হওয়ায় তাদের ভোটও দলীয় নির্ভর। তবে রাজনৈতিক দলমতের ঊর্ধ্বে থাকা ভোটারদের ভাবনা চিন্তায় ভর করেছে এবারে শিক্ষিত ও নীতিবান নগরকর্তা নির্বাচিত করার বিষয়টিতে। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রের ব্যানারে (বিএনপির) দুই প্রার্থীর নেতাকর্মী সমর্থকরা নিজেদের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রচার-প্রচারণার জায়গায় থাকলেও নগরীর অন্তত ত্রিশভাগ সাধারণ ভোটারের ভাবনা আগামীর যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত এবং হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া ট্যাক্সের বোঝামুক্ত স্বপ্নের নগর কুমিল্লাকে নিয়ে।
এবারে কেমন মেয়র চায়, এমন ভাবনার বিভিন্ন ওয়ার্ডের এসব সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নিম্ন আয়ের লোকজন, সাধারণ চাকরিজীবী, মধ্যমশ্রেণির ব্যবসায়ি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক, নতুন প্রজন্মের সাধারণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রয়েছেন। যারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের মাঠে আলোচিত প্রার্থী রিফাত, কায়সার ও সাক্কুকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। আর এভাবনা থেকেই এসব ভোটাররা ১৫ জুন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
সাধারণ ভোটারদের মাঝে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ আরফানুল হক রিফাত বেশিরভাগ সাধারণ ভোটারের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন নীতি নৈতিকতার কারণে। দলের দুঃসময়েও আদর্শবিচ্যুত হননি কখনো। সাধারণ ভোটারদের অনেকেই তাদের মতামতে বলেছেন, নগরীর রাস্তায় সঠিক নীতিমালা ও পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে সবধরণের যান চলাচল করলেও যানজট হবেনা এমন একটি প্ল্যানের কথা রিফাত তার পথসভায় প্রকাশ করেছেন। নগরীর বেশিরভাগ রাস্তা সরু। যানজট ও জলাবদ্ধতার সমস্যাও প্রকট। এসব বিপত্তি থেকে আরফানুল হক রিফাত মেয়র নির্বাচিত হলে সরকারি দলের লোক হিসেবে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবেন। কারণ তার কাজের সঙ্গে সরকারের উন্নয়নের বিষয়টি ওতোপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। গত দশ বছর বিরোধীদলের মেয়র থাকায় নানাভাবে উন্নয়ন ব্যাহত করা হয়েছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। তাই নতুন মুখ হিসেবে রিফাতের হাত ধরে আধুনিক কুমিল্লা হয়ে ওঠবে এমন ভাবনাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এবারের সিটি নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে বেশ চমক দেখাচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। সাধারণ ভোটারদের ভাবনায় ওঠে এসেছে কায়সার নির্বাচিত হলে নগরীর উন্নয়নে তারুণ্যের দায়িত্বশীল ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হবেন। কুসিক করপোরেশনকে একটি পরিকল্পিত মডেল নগরীতে রূপান্তরিত করবেন। সাধারণ ভোটারদের অনেকে জানান, নাগরিকের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবেন এমন প্রার্থীর মধ্যে কায়সার এসময়ে অন্যদের চেয়ে পারফেক্ট।
অপরদিকে দ্বিতীয়বার বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ দলে নানা কারণে বিতর্কিত হয়ে উঠেন মনিরুল হক সাক্কু। গত ৫ বছরে বিএনপির মুলধারাসহ সাক্কু গ্রæপের অনেকেই নাখোশ দলের নীতি আদর্শবর্জিত কর্মকাÐের জন্য। এবারে তিনি দল থেকে অব্যাহতি নিয়ে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রতীক টেবিল ঘড়ি। সদ্য বিদায়ী মেয়র সাক্কুকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের অনেকেই বলেছেন, তিনি চেষ্টা করলে নগর কুমিল্লাকে মডেল সিটিতে রূপান্তর করতে পারতেন কিন্তু তিনি বিএনপির মেয়র হয়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সময় পার করেছেন। গত নির্বাচনে দেওয়া ৪৯টি প্রতিশ্রæতি তিনি রক্ষা ও বাস্তবায়নে ভ‚মিকা রাখতে পারতেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রæতির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আবার অনেক ভোটারের মতে, সাক্কু নগরীকে অনেকটা বর্ণিল করে সাজিয়েছেন। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ড্রেনেজ কাজ তদারকি করেছেন। নগরীর অন্তত ৮০ ভাগ রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, কালভার্ট, ডাস্টবিন সংস্কার ও উন্নয়ন হয়েছে। মেয়রের আসনে ফের সাক্কু ফিরে এলে নগরীর উন্নয়নে আরো দায়িত্বশীল হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।