পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে অ্যাসিড নিক্ষেপের পৃথক দুটি মামলায় মা-মেয়ে ও ভাই-বোনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। ২৭ বছর আগে জেলার রাঙ্গুনিয়ায় এক ব্যক্তিকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার মামলায় মা-মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার তৃতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদ এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, মাসুমা খাতুন ও তার মেয়ে মুস্তাফা বেগম। মামলার পর তারা গ্রেফতার হলেও জামিন নিয়ে বেরিয়ে পলাতক হন। অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মা-মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ২০ জুলাই জেলার রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া এলাকার নুরুল আবসারকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয়। এতে তার চোখ, মুখ ও বুক ঝলসে যায়।
এ ঘটনায় নুরুল আবসারের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মুস্তাফার সঙ্গে আবছারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য আবছারকে প্রস্তাব দেয় মুস্তাফার পরিবার। কিন্তু তাতে রাজি হননি আবসারের মা-বাবা। একপর্যায়ে আবসারকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আবসারকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন আসামিরা।
এদিকে নগরীতে দুই বোনকে অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে আপন খালাত ভাই-বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শারমিন ফারজানা লতিফ ওরফে সাকি ও তার ছোট ভাই মুহাম্মদ ইফতেখার লতিফ ওরফে সাদি। চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তসলিম উদ্দিন জানান, দুই বোনকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাই-বোনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ভাই ইফতেখার লতিফ সাদিকে ৫০ হাজার টাকা এবং বোন শারমীন ফারজানা লতিফকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও সাতবছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর নগরীর চকবাজার জয়নগর এলাকার একটি বাসায় ব্যবসায়ী আনোয়ারুল মুবিনের দুই মেয়ে মুনতাহা কারিনা ও সালসাবিল তাসনিমকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই বোনের শরীর অ্যাসিডে ঝলসে যায়।
এ ঘটনায় তাদের বাবা আনোয়ারুল মুবিন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর কারিনা ও তাসনিমের খালাতো ভাই সাদী ও সাকীকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ এ কে এম শামসুল ইসলামের আদালত পুলিশের দায়ের করা চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।