পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নারী উদ্যোক্তারা বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে অবদান রাখছেন, তাই তাদের অগ্রগতিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। এতে নারী উদ্যোক্তারা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবেন বলে মত দিয়েছেন বক্তারা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত নারী উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট-উইয়ের উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তাদের প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
নারী উদ্যোক্তারা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে কঠিন সময় অতিবাহিত করছেন, তাই এই ক্ষতি নিরসনে ব্যবসায়ীক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির পাশাপাশি জাতীয় বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা জরুরি। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরুর সময় এবং পরবর্তীতে ট্যাক্স-ভ্যাট, নতুন ট্রেড লাইসেন্স ফি, নবায়নসহ সার্বিক বিষয়ে নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ালে তারা আরও গতিশীলভাবে অবদান রাখতে পারবেন দেশের অর্থনীতিতে। তারা বলেন, আমাদের দেশে অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে নারীদের অর্ধেকও যুক্ত নন। অনেক নারী আছেন তারা হয়তো কর্মজীবী। স্বামীর পাশাপাশি নিজেও সামান্য আয় করেন, সংসারে অবদান রাখেন। এই করোনাকালীন সময়ে নিজের সংসারের হাল ধরার জন্য যেভাবে নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছেন, এই উদ্দীপনাকে ধরে রেখে সামনে আরও সুন্দর কিছু পলিসি বের করতে হবে। যেন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ কমে না যায়। তাদের যেন দমে যেতে দেয়া না হয়।
যেসব কর্মজীবী নারীরা অফিসের কাজের পাশাপাশি নিজের ছোট উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাদের এগিয়ে যেতে দেয়া উচিত। কারণ একজন নারীই পারেন সবদিক গুছিয়ে সুন্দরভাবে নিজের কাজ সম্পাদন করতে। কোনো পলিসির কারণে যেন কর্মজীবী নারী উদ্যোক্তারা বাধার মুখে না পড়েন, সেই দিকটা সবারই নজর রাখতে হবে। আলোচনা সভায় উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, নারী উদ্যোক্তারা বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখছেন। যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে। নারীদের সমৃদ্ধ করার জন্যই বাজেট ভাবনা নিয়েই আমাদের এ আয়োজন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রপেসর ড. সায়েমা হক বিদিশা, এফবিসিসিআই পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, এনবিআর’র সাবেক সদস্য শাহনাজ পারভীন, ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী, চায়না বাংলা চেম্বারের পরিচালক মেহরুন এন ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি-গবেষক পারিসা শাকুরা, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয়, বিআইডিএস এর গবেষক তাহরিন তাহরিমা চৌধুরী, ওয়েল্ডের প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, আইবিএফবি পরিচালক তৌহিদা সুলতানা রুনু, উই ময়মনসিংহের উদ্যোক্তা সংগঠক তানিয়া সুলতানা, খুলনা উদ্যোক্তা সংগঠক আকসা ইসাডোরা হৈম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।