পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অস্ত্রের মুখে জিয়া প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়। তিনি তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে উদ্বৃত করে লেখেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তার বইয়ে লিখেছেন, “জিয়া বঙ্গভবনে আসতেন মধ্যরাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্র উঁচিয়ে রাখতো। আমি প্রায়ই মনে করতাম এটাই বোধ হয় আমার শেষ রাত। সংবিধানের ৪টি মূল স্তম্ভ বাতিল সংক্রান্ত একটি সামরিক ফরমান আমার কাছে স্বাক্ষরের জন্য আসে। আমি ঐ ফরমানে স্বাক্ষর না করে, তা রেখে দিই। পরদিন রাত ১১টায় বুটের শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। সেনাপ্রধান জিয়া অস্ত্রশস্ত্রসহ বঙ্গভবনে আমার শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। জিয়াউর রহমান আমার বিছানায় তার বুটসহ পা তুলে দিয়ে বলেন, ‘সাইন ইট’। তার একহাতে ছিল স্টিক, অন্য হাতে রিভলভার।
বিচারপতি সায়েম বলেন, “আমি কাগজটা পড়লাম। আমার পদত্যাগপত্র। যাতে লেখা- ‘অসুস্থতার কারণে আমি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’ আমি জিয়াউর রহমানের দিকে তাকালাম। ততক্ষণে আট-দশজন অস্ত্রধারী আমার বিছানার চারপাশে অস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জিয়া আবার আমার বিছানায় পা তুলে আমার বুকের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে বললেন, ‘সাইন ইট’। আমি কোনোমতে সই করে বাঁচলাম।”
‘আমি কোনোমতে সাইন করে জীবন বাঁচলাম’ শিরোনামে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় বলেন, প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তার লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে অনেক অজানা ইতিহাস জানা যায়, যা দীর্ঘদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল বিএনপি।
বইটি থেকে আরও জানা যায়, প্রেসিডেন্ট সায়েমের একটাই দুঃখ ছিল যে, তিনি বাংলাদেশে নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যেতে পারেননি।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়া কিভাবে অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো তা জানতে পারবেন এই ছোট এনিমেটেড ভিডিও থেকে। জিয়া প্রেসিডেন্ট সায়েম সাহেবকে কথাও দিয়েছিল সে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু সে নির্বাচনে জিয়া সামরিক বাহিনীর প্রধান ও সামরিক আইন প্রশাসকের পদে থেকে নিজেই নিজেকে ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট আয়োজন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে, যা জাতির সাথে সত্যিই এক বড় রকমের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বইটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার ৭ দিনের মধ্যে বইটি বাজেয়াপ্ত এবং নিষিদ্ধ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।