পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720328236](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের গড়াই নদীর ওপরের মীর মোশারফ সেতু ও রেল ব্রিজের পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে সেতু দুটি। যা বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৪ নম্বর ধারার ‘খ’ উপধারায় স্পষ্ট লঙ্ঘন।
কুষ্টিয়ার সংশ্লিষ্ট রাজস্ব বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ২১টি বালু মহালের মধ্যে উল্লেখিত জয়নাবাদ, রাহিনীপাড়া ও ছেউড়িয়া মৌজাভুক্ত ৭১ একর জমির উপরিউস্থ ৬৬ লাখ টাকা সরকারি মূল্যমানের বালু মহালটি চলতি অর্থ বছরে কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। গড়াই নদীর উপরিউস্থ রেল ও সড়ক সেতুর নিকটস্থ বালু মহল থেকে যারা বালু উত্তোলন করছেন তা অবৈধভাবেই করছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলিচালক আমিরুল জানান, প্রতিদিন এখান থেকে বেকু (এক্সাভেটর) বেলোটার দিয়ে সরাসরি ব্রিজের নীচ থেকে শত শত ডাম্পার ট্রাক, ট্রলি ভরে দিচ্ছেন। প্রতি ডাম্পার ট্রাক থেকে ১ হাজার ৭শ’ এবং ছোট ট্রলি প্রতি ২শ’ ৫০ টাকা করে টোল নিচ্ছেন ইজারাদারের লোক।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলামের অভিযোগ কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আলিক মহাসড়কের মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর সংলগ্ন নদীর মধ্য থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সেতুটি চরম ঝুঁকি মধ্যে পড়তে পারে, এমন বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। আমি নিজে সরেজমিন গিয়ে দেখে এসেছি সেখানে অন্তত ডজন খানেক এক্সাভেটর এবং বেলোটার (মাটিকাটা যন্ত্র) ব্যবহার করে ট্রাক ভর্তি করে দেয়া হচ্ছে। যতদুর শুনেছি কিছু চিহ্নিত বালিখোড় ওখান থেকে বালু উত্তোলন করছেন। আইন না মেনে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনের ফলে শতকোটি টাকার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই অঞ্চলের সমগ্র যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতোমধ্যে শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলার মোট ২১টি বালু মহাল আছে ইজারাযোগ্য। এর মধ্যে চলতি অর্থ বছরে সবগুলো ইজারা দেয়া হয়নি। যেগুলো ইজারা দেয়া হয়েছে এবং যারা ইজারা নিয়েছেন, তাদের আইনগত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর বিধি অনুসরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের মোশাররক হোসেন সড়ক সেতুটি জয়নাবাদ, রাহিনীপাড়া ও ছেউড়িয়া মৌজাভুক্ত ৭১ একর জমির বালু মহালের মধ্যে স্থাপিত। প্রথম কথা এই বালু মহালটি চলতি অর্থবছরে কোনো ইজারা দেয়া হয়নি। সেই সাথে বিধি অনুযায়ী নদীর উপরিউস্থ সড়ক বা রেল সেতু যেখানে আছে সেখানে উজান এবং ভাটির এক হাজার মিটার বা ১কি.মি দুরত্বের মধ্যে কোন ভাবেই বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কেউ এই আইন ভেঙ্গে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।