পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সর্বজনীন পেনশন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে যাচ্ছে। দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে আগামী এক বছরের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা। এর আগে আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন হচ্ছে। এ পেনশন ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য Ñদেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতা আনা। যাতে বৃদ্ধ বয়সে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। এরুপ সুবিধাদি অর্ন্তভূক্ত করে আইনের খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেএ সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে করে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে উথাপন করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। আগামী ২০২৩ সাল থেকে সর্বজনীন পেনশন চালু হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের সচিব স্বাক্ষরিত পাঠানো আইনের সার-সংক্ষেপে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন হলো জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্ততায় সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালুর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ বিষয়ে প্রণীত কৌশলপত্রের ওপর অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৩২ পৃষ্ঠার খসড়া কৌশলপত্রে নতুন এ পেনশন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিকসহ বিভিন্ন দেশে চলমান পেনশন ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়।
খসড়া কৌশলপত্রে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন হলো জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
গতবছর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তন হলো জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার। প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ২১টি দিক তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি স্বেচ্ছাধীন থাকবে, যা পরে বাধ্যতামূলক করা হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের আপাতত নতুন জাতীয় পেনশন ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সরকার যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি পৃথক পেনশন হিসাব থাকবে, ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে। এ পেনশন পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ারও সুযোগ থাকবে। তবে এক্ষেত্রে কর্মী বা প্রতিষ্ঠানের চাঁদা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।
মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারিত থাকবে। তবে প্রবাসী কর্মীদের সুবিধার্থে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা জমা দেওয়া যাবে। সুবিধাভোগী বছরে ন্যূনতম বাৎসরিক জমা নিশ্চিত করবে। অন্যথায় তার হিসাব সাময়িকভাবে স্থগিত হবে এবং পরবর্তীতে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে হিসাব সচল করা হবে। সুবিধাভোগী আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে চাঁদা হিসেবে বর্ধিত অর্থ জমা করতে পারবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা (৬০ বছর) পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত লভ্যাংশসহ জমার বিপরীতে নির্ধারিত হারে পেনশন দেওয়া হবে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের সুবিধা ভোগ করছি। আমাদের বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ বছর, যা ২০৫০ সালে ৮০ বছর এবং ২০৭৫ সালে ৮৫ বছর হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় আগামী তিন দশকে একজন কর্মজীবী ব্যক্তি অবসর গ্রহণের পরও গড়ে ২০ বছর আয়ু থাকবে। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্ভরশীলতার হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০৫০ সালে ২৪ শতাংশ এবং ২০৭৫ সালে ৪৮ শতাংশে উন্নীত হবে। গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীল হার বিবেচনায় আমাদের বৃদ্ধ বয়সের নিরাপত্তা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা খুবই জরুরি। আইনটি অনুমোদন হলে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা পাওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।