পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হযরত আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, একজন মানুষের মকবুলিয়াতের অন্যতম মাধ্যম হলো খেদমতে খালক তথা মানুষের সেবা করা। শহীদে বালাকোট সায়্যিদ আহমদ বেরলভী (রহ.) খেদমতে খালকের মাধ্যমে তার জীবন শুরু করেছেন। বুযুর্গ খান্দানের হয়েও সাধারণ মানুষের সেবা করেছেন, অসহায় বিধবাদের খেদমত করেছেন। হযরত ওমর রা. খলিফা থাকাকালে বিধবার ঘরে কলসি ভরে পানি নিয়ে দিয়েছেন। মানুষের সেবা, অনাহারীকে খাওয়ানো যেমন খেদমতে খালক তেমনি দ্বীনি শিক্ষা দান, ভালো পথে আহবান করাও বড় খিদমাত। খেদমতের মাধ্যমে মানুষ জীবনে উন্নতি লাভ করে, আল্লাহ তাদের জন্য ভালো কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। আমরা যারা সায়্যিদ আহমদ বেরলভী (রহ.) এর অনুসারী আমাদেরকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পুর্ণ আমানতদারীর সাথে খেদমাত চালিয়ে যেতে হবে, আউলিয়া কেরামের পথ অনুসরণ করতে হবে।
আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী গতকাল বৃহস্পতিবার বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ইসলামী ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (রহ.) স্মরণে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী।
পরিষদের সদস্য মাওলানা নজমুল হুদা খান এবং মাওলানা আজির উদ্দিন পাশার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আলহাজ্জ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল মিঞা, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম-মহাসচিব ড. মাওলানা এ. কে. এম. মাহবুবুর রহমান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা হাসান মাসুদ, কেরানীগঞ্জ জহুরীয়া দরবারের পীর ছাহেব মাওলানা মো. আজহারুল ইসলাম, শামসাবাদের পীর ছাহেব মাওলানা মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, নয়াটুলা কামিল মাদরাসা ঢাকার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল হক, রাজশাহী মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোকাদ্দাসুল ইসলাম, ফেনী ছাগলনাইয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হোসাইন আহমদ ভূঁইয়া, চাঁদপুরের বদরপুর আদমিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান, নাঙ্গলকোট কামিল মাদরাসা কুমিল্লার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদপুর গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসা ঢাকার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ ইজহারুল হক, ঢাকা মাহমুদা খাতুন কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা বদিউল আলম সরকার, ঢাকা মহানগর আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা আবু নছর জিহাদী, দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ, ইমাম আযম আবু হানীফা (রহ.) ফাউন্ডেশন, নওগাঁ’র পরিচালক মাওলানা মুফতি শাহ আলম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাজী ও বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সভাপতি দুলাল আহমদ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে আলেম উলামাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। এমতাবস্থায় সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) এর উত্তরসূরীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা আলেম উলামার তালিকা করছে তাদের এরকম তালিকা করার কোনো অধিকার নাই। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা ছাড়া আর কিছু নয়। কোনো আলেমের ভুল হলে শীর্ষ আলেম উলামাই এসব দেখবেন। যারা আলেম উলামার দুর্নীতির তালিকা করছে আয়নায় তাদের নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। তাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। বক্তারা আলেম-উলামার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জানান এবং তাদের কোনোভাবে হয়রানী না করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট কামিল মাদরাসা কুমিল্লার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাদের, মুর্তজাবাদ কামিল মাদরাসা নারায়নগঞ্জ এর প্রিন্সিপাল মাওলানা বুরহান উদ্দিন, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক হেড মুহাদ্দিস মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন হোসাইনী, কিশোরগঞ্জের কদমচালের পীর ছাহেবের প্রতিনিধি মাওলানা জালাল আহমদ, বালুচর অষ্টগ্রামের পীর ছাহেবের প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল গণি, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ মোহাম্মদ কুতবুল আলম, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আল ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছালেহ আহমদ, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ছালেহী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা মুহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হুমায়ুনুর রহমান লেখন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ, লতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আবু সাদেক মো. ইকবাল খন্দকার, ভাদেশ্বর সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শুয়াইবুর রহমান, রাখালগঞ্জ দারুল কুরআন সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শেহাব উদ্দিন, বায়তুল মাহফুজ জামে মসজিদ উত্তর বাড্ডার খতীব মুফতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া ঢাকার মশুরীখোলা, কুমিল্লার দারুল আমান ও যশোরের দারিয়াপুরের পীর ছাহেবের প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক হাফিজ মাওলানা নজির আহমদ হেলাল, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সুনামগঞ্জ জেলা আল-ইসলাহর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।