পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পার্বত্য তিন জেলায় ম্যালেরিয়া রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা তিনটি হচ্ছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান। গত কয়েক বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রোধ করা গেলেও চলতি বছরে আবারো দেখা দিয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে বান্দরবানে। আর দেশের মোট ম্যালেরিয়া রোগীর ৯৪ শতাংশই পার্বত্য তিন জেলায়।
গত বছর বান্দরবান জেলায় শনাক্ত হয় ৫ হাজার ১২৮ জন ম্যালেরিয়া রোগী। রাঙামাটিতে ১ হাজার ৫৬৯ জন। খাগড়াছড়িতে ১০৪ জন। আক্রান্তদের সিংহভাগই বান্দরবান জেলায়। ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে বান্দরবান জেলায় গত বছর ২ জন মারা গেছে।
খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন মো. ছাবের ইনকিলাবকে জানান, খাগড়াছড়ি জেলায় চলতি মাসে এ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৯ জন। রাঙামাটির জেলার সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, রাঙামাটির জেলায় চলতি মাসে এ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩০ জন। তিনি আরো জানান, ‘ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকা হিসেবে রাঙামাটিতে আইসিইউ সুবিধা দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। আশা করা যায় এবার সেই ব্যবস্থা করা হবে।
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, বান্দরবানে গত বছর ৭২ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, আলীকদম ও লামা উপজেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। পার্বত্য তিন জেলার কোনো হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেই।
তিনি আরো জানান, গত বছর বান্দরবানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দু’জন মারা যায়। তাদের আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি তিনটি সহযোগী সংস্থা জেলায় কাজ করছে। তিন পার্বত্য জেলায় আইসিইউ সুবিধা না থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।