পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পি কে হালদার সম্পর্কে দেশটির সরকার এখনও কোনো তথ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১৬ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, তার (পি কে হালদার) ব্যাপারে ভারত সরকারের কাছ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও কিছু পায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে কি না আমি জানি না। তারা (ভারত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে তখন আমরা যা যা করার নীতিগতভাবে, আমরা সেটা নিয়মানুযায়ী করব। যাতে আমরা তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে পারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথম আমাদের ভারত সরকার জানাবে এই লোক ওখানে আছে এবং হয়ত তাকে শাস্তি দেবে। সেগুলো হয়ত আমাদের বলবে, শাস্তির মেয়াদ বাংলাদেশে এসে শেষ করতে হবে। এটা আমরা অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও করি। আমাদেরটাও তারা করে। আমাদের সে প্রসিডিউর আছে। এসব ক্ষেত্রে উভয় দেশের আমাদের একটা নীতি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে ফেরত দেয় বাংলাদেশ সরকার। আবার ভারতে গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনে ঢাকা। বর্তমানে ভারতে আটক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দেশটিতে কয়েকটি মামলা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারতে হওয়া মামলার বিচারের আগে তাকে দেশে আনা যাবে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অনুপ চেটিয়ার ব্যাপারে প্রথমে আমাদের দেশে বিচার হয়েছে। তারপর ওকে আমরা দিয়েছি। একই প্রসিডিউর হয়ত হবে। মামলায় হয়ত তার কিছু বিচার হবে। তারপরে আমাদের দেবে। আমি জানি না। আমাদের আইন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
ড. মোমেন বলেন, আমার ধারণা ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সোনালী অধ্যায়-সম্পর্ক, তাতে অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে; যা করতে চাই তারা আমাদের কথা শুনবে এবং সেই অনুয়ায়ী আমরা কাজ করব। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তিনি বলেন, যা যা আমাদের করার তা আমরা করব। গত শনিবার (১৪ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশি নাগরিক প্রশান্ত কুমার হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রশান্ত কুমার হালদার নিজেকে শিব শঙ্কর হালদার নামে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।