পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আম, লিচু, কাঁঠালের মতো রসালো না হলেও তালের শাঁস এখন বেশ জনপ্রিয়। রাজধানীর বাজারে উঠেছে তালের শাঁস। রাজধানীর অলিগলি ও প্রধান সড়কের আশপাশে ভ্যানে বিক্রি করতে দেখা যায় তালের শাঁস। তালের একটি করে বিচি ১৫ টাকা এবং তাল ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও ক্রেতারা কিনছেন বলে জানালেন শনির আখড়া বাজারে শাঁস বিক্রেতা। রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় বারডেম নারী ও শিশু হাসপাতালের সামনে তালের শাঁস বিক্রি করেন মো. মুনির হোসেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন তিনি দুই ভ্যান অর্থাৎ কমপক্ষে ৩ থেকে ৪শ’ তাল বিক্রি করেন। প্রতিটি তালের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে রাখা হয়। তবে খুচরা কিনলে বিচি ১৫ টাকা। তিনি বলেন, অন্য ফল বিক্রির চেয়ে তালের শাঁসে লাভ বেশি। হাসপাতালের সামনে বলে বিক্রি একটু বেশিই হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ি আড়তে সবচেয়ে বেশি কাঁচা তাল পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাক ভরে কাঁচা তাল এসে ঢাকার এই দুই পাইকারি বাজারে পৌঁছায়। এখান থেকে পাইকারি দরে কিনে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে স্থান ভেদে তালের দাম নির্ধারিত হয়। যেমন ধানমণ্ডি এলাকায় তিন শাঁসের একটি কাঁচা তাল পাওয়া যাবে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। একই তাল গুলিস্তান কিংবা মৌচাকে বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে। আবার হাসপাতালের সামনে প্রতি তালে দাম বেড়ে যায় আরও ১০ থেকে ২০ টাকা। দাম যা ই হোক না কেন, স্বাদে অতুলনীয়। পানিতে ভরপুর এই তালের শাঁস প্রচণ্ড গরমে শরীরকে শান্ত করে দেয়। যাত্রাবাড়িতে তাল বিক্রি করেন আবদুর রহিম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তালের শাঁস বেশি পছন্দ করেন। মিষ্টি তেমন না থাকলেও এই ফল নরম এবং ভিতরে পানি থাকে। তালের শাঁস নিয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছবি লেখা শেয়ার করতে দেখা গেছে। তানবীর সিদ্দিকী নামের একজন ছবি পোস্ট করেছেন, এই বছরের প্রথম তালের শাঁস। একদম কচি আর নরম। পরে কিন্তু শক্তগুলো খেতে হবে।
আরেকজন লিখেছেন, অসময়ে সময় হলো তার গরমের মজা তালের শাঁস। কদিন থেকে দেখছিলাম তালের শাঁস বিক্রি হতে। অসময়ে এটা দেখে অবাকই হয়েছিলাম। কেউ খেতে চাইলে ঢাকার সব এলাকায় অনায়াসে পাবেন এই ফল।
সুমন পাটোয়ারি নামে আরেকজন লিখেছেন, গরমে দারুণ পিপাসা মেটায় তালের শাঁস। নীলিমা রহমান নামে আরেকজন লিখেছেন, ছোটবেলা এই সময় গ্রামে প্রচুর তালের শাঁস খেতাম, ঢাকায় এসে এটা ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ বাচ্চাকে স্কুল থেকে ফেরার সময় কিনলাম। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২ দশমিক ৩ শতাংশই জলীয় অংশ। ক্যালোরি থাকে ২৯ শতাংশ, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ থাকে ০ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি থাকে ৪ মিলিগ্রাম।
জানতে চাইলে পুষ্টিবিদ ডা. সালমা খান জানান, তীব্র গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। তালের শাঁসে রয়েছে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবেও কাজ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।