পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দেশীয় পণ্যের মান যথাযথভাবে নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। গতকাল শনিবার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস মার্চেন্ডাইজ শীর্ষক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, একসময় ইলেকট্রিক্যাল পণ্য আমদানি করতে হত আমাদের। এখন প্রায় ৮০ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের প্রসারের জন্য কমপ্লায়ান্স একটি বড় ইস্যু। মানসম্মত পণ্য তৈরি করতে পারলে বিশ্ববাজারে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ছোট বড় সব কোম্পানিই দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ছোট ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে সরকারও যথেষ্ট নিরাপত্তা দিচ্ছে। তাদের জন্য নীতিমালা তৈরিতে সহযোগীতা করতে হবে আমাদেরকে। শুধুমাত্র নিজস্ব ব্যবসার উন্নতি হিসেব না করে পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে আমাদের। এসময় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ইলেকট্রিক্যাল সহ যেসব খাতের পণ্য দেশের বাইরে রফতানি করে রাজস্ব আয় করা সম্ভব, সেসকল খাতকে পূর্ণ সহযোগীতা করতে হবে আমাদের। এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ জনাব এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, গার্মেন্টস, চামড়াসহ প্রায় সব খাতে নীতিমালা থাকলেও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের উন্নয়নে কোন সুনির্দিষ্ট নীতমালা নেই। যার ফলে দেশের অল্প কিছু কোম্পানি ছাড়া বেশিরভাগই মন্দা অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, ছোট ও মাঝারি উদ্যেক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে তারা ব্যাংক থেকে দেয়া ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে। ফলে ব্যাংক ও উদ্যোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি ও কমিটির কোণ্ডচেয়ারম্যান মো. সোহেল খান সরকারের কাছে এ খাতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ এর সুবিধাসহ টেলিভিশন প্রস্তুতে আলাদা শিল্পাঞ্চলের দাবি জানান।
এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী ইকবাল জানান, গবেষণা ও যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকার কারনে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের লক্ষনীয় প্রসার হচ্ছে না। এ খাতের উন্নয়নে সামগ্রিক ম্যাপিং করে কাজ করা দরকার। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ও কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাব্বাত উল্লাহ। ইলেকট্রনিকস খাতে তথ্য উপাত্তের ঘাটতি উল্লেখ করে তিনি নিজ উদ্যোগে এ খাতের ডাটাব্যাংক তৈরি করে এফবিসিসিআইর মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান।
সভায় নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি তৈরিতে সরকারের প্রণোদনা পাওয়া, সরকারি প্রকল্পে দেশীয় ক্যাবলের ব্যবহার বাড়ানো, দুবাই বা আফ্রিকাতে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের হাব তৈরি করা, এ খাতে সরকারের ১৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা সহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন কমিটির অন্য সদস্যরা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, পরিচালক হাফেজ হারুন, সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমীন, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, সালাউদ্দিন ইউসুফ, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মাদ মাহফুজুল হকসহ অন্য সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।