পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719555172](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. হোসেন (১৮) নামে এক তরুণ খুন হয়েছে। গত শুক্রবার মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর জেলার আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। তিনি মোহাম্মদপুর সাদেক খান রোড এলাকায় থাকতেন।
হোসেনের বড় বোন মোমেনা আক্তার বলেন, আমার ভাই একটি স্বর্ণের দোকানে কাজ করতেন। বাসা থেকে স্বর্ণের দোকানে যাওয়ার সময় পথে ছিনতাইকারী তার কাছে থেকে টাকা ও মোবাইল নেয়ার চেষ্টা করে। হোসেন এতে বাধা দেয়ায় ছিনতাইকারী তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) খালি না থাকায় হোসেনকে দ্রুত ধানমন্ডি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টায় তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. লিটন মাতুব্বর জানান, আমরা খবর পেয়ে ধানমন্ডির একটি ক্লিনিক থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা নিহতর স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, মোহাম্মদপুর রায়ের বাজার এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধানমন্ডির ক্লিনিকে তিনি মারা যান। আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় সৎ বাবার চড়-থাপ্পড় খেয়ে নামিরা ফারিজ (৩) নামের এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশু মেডিসিন বিভাগের ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির মৃত্যু হয়।
দক্ষিনখান থানার এসআই মোছা. রোজিনা আক্তার বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের মা তাসলিম জাহান ইমার বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নামিরা ফারিজকে বাসায় রেখে জরুরি কাজে বাইরে যান তার মা। সে সময় তার সৎ বাবা আজহারুল ইসলাম বাসায় ছিলেন। ওই সময় বাসার কাজের মেয়ে ফারিজকে খাবার খাওয়ানোর সময় জেদ করে সে। এ কারণে তাকে চড় মারেন আজহারুল। এতে শিশুটি দেয়ালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এই ঘটনায় আজহারুলকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে রোজিনা আক্তার বলেন, তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
শিশুটির মা তাসলিম জাহান ইমা বলেন, ছয় মাস আগে প্রেম করে আজহারুলকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে সে আমার সন্তানকে কিছুতেই সহ্য করতে পারতো না। আমি বাসা থেকে দরকারি কাজে বের হলে আমার কন্যাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সে। আমি এই হত্যার সঠিক বিচার চাই। তিনি আরও বলেন,আমাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনগঞ্জ গ্রামে। আমি এখন দ্বিতীয় স্বামী আজহারুলকে নিয়ে দক্ষিনখান আশকোনার ৫৭১/১ নম্বর বাসায় থাকি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।