পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জকে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসতে সাবওয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জকে যানজটমুক্ত এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নগরবাসীর যাতায়াত সহজ করতে সেতু বিভাগ সাবওয়ে তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে শুরু হয় সাবওয়ে প্রকল্পের সমীক্ষার (ফিজিবিলিটি স্টাডি) কাজ। স্পেনের টিপসা নামের একটি প্রতিষ্ঠান জয়েন্টভেঞ্চারে বাংলাদেশি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সমীক্ষা শুরু করা হয়। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে সমীক্ষার একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনও হাতে পেয়েছে সেতু বিভাগ।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার তলদেশে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সাবওয়ে নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এতে মোট ১১টি লাইন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর একটি লাইন কানেকটিং থাকবে নারয়ণগঞ্জের সঙ্গে, আর একটি থাকবে রূপগঞ্জের পূর্বাচলের সঙ্গে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, প্রাথমিক নকশা অনুযায়ী লাইনের নাম চূড়ান্ত না হলেও এখন পর্যন্ত যে ১১টি লাইন পাওয়া গেছে সেগুলোর একেকটির দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রতিটি সাবওয়ে লাইনের এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর স্টেশন থাকবে। একই সঙ্গে থাকবে ইন্টারকানেকশন, যাতে সাবওয়েতে চলে যাওয়া নগরবাসী সহজেই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন মেট্রো বদলের মাধ্যমে।
সাবওয়ে প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস বলেন, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। কমপক্ষে ৩০ বছর সময় নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে সাবওয়ে প্রকল্পের একটি সামগ্রিক চিত্র পাওয়া গেছে। কভিড-১৯-এর কারণে সমীক্ষার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অচিরেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এ দিকে প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ ইতিমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থের সংস্থান করতে কাজ শুরু করেছে। প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পাঠানোর জন্য। একই সঙ্গে সেতু বিভাগ নিজেরাও অর্থায়নের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দাতা সংস্থার সহযোগিতা পেলে বছরে অন্তত একটি সাবওয়ে তৈরির কাজ শুরু করার আশা করছে সেতু বিভাগ।
অপর দিকে, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ককে ৬ লেনে উন্নিত করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
৩৬৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আমরা কাজটা করছি। এ কাজ জনস্বার্থে। কাজেই সেনাবাহিনীসহ যাদেরই জায়গা আছে তাদের সাথে আলোচনা করব। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ৮ দশমিক ১০৫ কিলোমিটার। এর চুক্তিমূল্য ৩৬৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া এ কাজ আগামী বছর জুনের মধ্যে শেষ হবার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।