পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শতাধিক নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯ জন পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া দলের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুবদলের আহŸায়ক ছাড়া ১০১ সদস্যের পুরো কমিটির নেতারা, গণতান্ত্রিক ওলামা দলের ২৩ সদস্যের পুরো আহŸায়ক কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৫ সদস্যের পুরো কমিটি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। তারা পদত্যাগপত্র অলি আহমেদের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পদ্যাগতকারী এসব নেতা চলে যাওয়ায় দল পবিত্র হয়েছে বলে মনে করে কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পদত্যাগকারী বেশ কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন যাবত আমেরিকায় অবস্থান করছিলেন এবং প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এলডিপি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করে পদ বিক্রি করে আসছিলেন।
পদত্যাগকারী উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী, উপদেষ্টা ফরিদ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রওনক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি এএসএম মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. আফজাল হোসেন মোর্শেদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক শফিউল বারী রাজু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক লস্কর হারুনুর রশিদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন মন্ডল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান। গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল ও যুগ্ম আহŸায়ক ইমাম হোসেন পাঠান বিপ্লব, কাজী কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীর আল সানি, হারুন অর রশিদ, ইউনুস বেপারী, রেজওয়ানুল ইফতেখারসহ ১০০ জন। গণতান্ত্রিক ওলামা দলের আহŸায়ক হাফেজ মাওলানা বদরুদ্দোজা, সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল হাই নোমান, যুগ্ম আহŸায়ক মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইনসহ ২৩ জন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হকসহ ৭৪ জনসহ এলডিপির সাধারণ ২১ সদস্য।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ জুন এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন আবদুল করিম আব্বাসী, মো. আবদুল্লাহ ও মো. আবদুল গণি। তিনজনই এলডিপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তারা সবাই একাধিকবার বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে এলডিপির আরেকটি অংশের কমিটি করা হয়।
এদিকে পদত্যাগকারী নেতারা দল ছাড়ায় দল পবিত্র হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি। দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন রাজ্জাক এক বিবৃতিতে বলেন, ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম ও ডক্টর রেদোয়ান আহমদ এই দলের মূল আর্কষণ। তাদের নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এলডিপি আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী। এলডিপি থেকে পদত্যাগকারী বেশ কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন যাবত আমেরিকায় অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে এলডিপির প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করে পদ বিক্রি করে আসছে। যা এলডিপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। বিষয়টি এলডিপির দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এই সমস্ত নেতাদের এলডিপির দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। তাছাড়া এরা অনেকেই গত দুই বছর যাবত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেন না। এ ব্যাপারে এলডিপির ভাষ্য এরা এলডিপি থেকে বিদায় নেওয়ায় এলডিপি পূত পবিত্র হয়েছে। সারা দেশে এলডিপির লাখ লাখ নেতাকর্মী আছে। এরা চলে গেলে দলের কিছু যায় আসে না। এলডিপি থেকে অতীতে যারা বিদায় নিয়েছে তারা কেউ রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি এরাও পারবে না। ড. অলি আহমেদ ও ড. রেদোয়ান আহমেদ হচ্ছেন দলের ফোকাস। এর বাইরে কে গেলো, কে এলো তা বিবেচ্য না।’ মূল নেতৃত্ব থেকে চলে গিয়ে নিজেদের এলডিপি দাবি করতে পারে, কিন্তু তা হালে টিকবে না। যারা যাবে তারা হারিয়ে যাবে। মূল দল থেকে যারা ছিঁটকে যাবে, তারা আর অবস্থান ফিরে পাবে না।’###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।