পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে গত সোমবার ভারতীয় রুপির মান ৬০ পয়সা কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। এর সঙ্গে সংগতি রেখে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার মানও কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেদিন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় নির্ধারণ করেছে। আর ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতি ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ৭৭ দশমিক ৭৬ রুপি করেছে।
স্থানীয় টাকার দাম কমানোর ফলে বাংলাদেশের রফতানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। তবে এতে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে। অন্যদিকে রফতানি আয়ে রেকর্ড করলেও আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে লাগামহীনভাবে। ইদানীং বাংলাদেশে টাকার দাম শুধু কমছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী ভারতে প্রতিনিয়ত দাম ওঠা-নামার মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া ভারতে রুপির মান কমানোয় বাংলাদেশি টাকার মানও কমানো হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ২৩ মার্চ তা আবার ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। এরপর ২৭ এপ্রিল ২৫ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। সর্বশেষ গত সোমবার আবার ২৫ পয়সা বাড়ানো হয়। এছাড়া গত এক মাসের চিত্র ঘাটলে দেখা যায়, এপ্রিলের ১১ তারিখে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ৮৬ দশমিক ২০ টাকা। আর গতকাল ১১ মে এই মান দাঁড়িয়েছিল ৮৬ দশমিক ৭০ টাকা। সে হিসেবে গত এক মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ণ হয়েছে ৫০ পয়সা। অন্যদিকে এপ্রিলের ১২ তারিখে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ছিল ৭৬ দশমিক ১১। এক মাস পর ১১ মে ডলারের রিপরীতে রুপির মান ছিল ৭৭ দশমিক ২৬। সে হিসেবে গত এক মাসে রুপি দর হারিয়েছে ১ দশমিক ১৫।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে। আর ডলারের চাহিদা বেশি হলে ধীরে ধীরে দাম বাড়াচ্ছে। এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে অর্থনীতিবিদেরা ডলারের দাম চাহিদা ও জোগানের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।
ব্যাংকাররা বলছেন, ঈদের কারণে দেশে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবাসী আয় এসেছে। তবে আমদানি খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে প্রবাসী আয় ও রফতানি আয় বাবদ আসা ডলার দিয়ে সেই খরচ মেটানো যাচ্ছে না। ফলে ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, ডলারের সংকট শিগগিরই কমার কোনো লক্ষণ নেই। এ সংকটের প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। পাশাপাশি ব্যাংক ব্যবস্থায় নগদ টাকারও সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে চলতি হিসাবে লেনদেনের ভারসাম্যেও ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে ডলারের দাম ধরে রেখেছে, তাতে অন্য দেশের সঙ্গে অসংগতি তৈরি হচ্ছে। রফতানিকারকেরা কম মূল্য পাচ্ছেন। প্রবাসীরাও আয় পাঠাতে অবৈধ চ্যানেলের খোঁজ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।