পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর আলোচিত পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত রেখে ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. আনেয়ারুল হক কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ এই বিষয়ে দুইটি মামলা করেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সড়কের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা বিল্ডার্স থেকে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ পাওয়া কুমিল্লার মো. জাকির হোসেন, মেসার্স রানা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলম এবং ফেনীর সদর এলাকার বাসিন্দা ছালেহ আহাম্মদ। এছাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড-ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার সাবেক এফভিপি এবং ব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার আলম (বর্তমানে প্রধান শাখায়), সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিসুজ্জামান, এফএভিপি ছাইফুল আলম মজুমদার, ব্যাংকটির খুলশী শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মকামে মাহমুদুল ইসলাম আরেফিন ও ইউসিবিএল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা দেবু বোসকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে নগরীর অলঙ্কার থেকে নিমতলা পর্যন্ত পোর্ট কানেকটিং রোডের সংযোগ সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ পায় মেসার্স রানা বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠানের এমডি মোহাম্মদ আলম এ প্রকল্পটির কার্যাদেশ পেয়ে চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে জাকির হোসেনকে অবৈধভাবে আমমোক্তারের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়নের দায়দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। চুক্তি অনুযায়ী কাজটি সম্পাদন না করে অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গণভোগান্তি তৈরি এবং সরকারের (সিটি করপোরেশনের) চার কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় একটি মামলায়।
২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এ উন্নয়নের প্রকল্পের কার্যাদেশ দেখিয়ে রানা বিল্ডার্সের মোহাম্মদ আলম আরেক আসামি জাকির হোসেনকে দিয়ে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখা থেকে ২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন বলে আরেক মামলায় অভিযোগ করা হয়। এজাহারে বলা হয়, আসামি জাকির হোসেন অন্যান্য আসামিদের সাথে যোগসাজশে আমমোক্তার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে মেসার্স রানা বিল্ডার্স লিমিটেডে এমডি হিসেবে ভুয়া সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখায় হিসাব খুলে ২০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করেন।
একইভাবে মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজের নামে একই ব্যাংকে ওই শাখায় অন্য আরেকটি হিসাব খুলে আরও ২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আসামিরা আত্মসাত করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে একই কার্যাদেশ দেখিয়ে দুইবারে ৪০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।