পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পজলা সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা আমিরুল হোসেন চকদারকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোররাতে উপজেলা সদরের দত্তপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং দত্তপাড়া এলাকার মোশাররফ হোসেন চকদারের ছেলে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত ছয় মামলায় এখন পর্যন্ত ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, ওই দিনের হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমিরুল হোসেন চকদারকে আটক করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি পানিতে বিসর্জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনার ১৭ দিন পর গতকাল বুধবার দুপুরে বিভিন্ন মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তিগুলো মন্দিরের পার্শ্ববর্তী পুকুরে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু জাফর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেবসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে আবার আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আবার হিন্দু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো হিন্দুরের বাড়িঘরে আগুন দেয়া হলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা প্রায় পৌনে ৭টায় নাসিরনগর উপজেলা সদরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেবের বাড়িতে ফের আগুন দেয়া হয়েছে। আগের বার ৫ নভেম্বর তার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। তখন পাটখড়ির আটিতে আগুন দেয়া হয়। এবার অন্য একটি ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগানোর সময় অঞ্জন কুমার দেব বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে আসেন। তিনি জানান, আগুন দেখতে পেয়ে বাড়ির ও আশেপাশের লোকজন আগুন নেভায়। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা কেউ দেখতে পায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অঞ্জব দেব জানান, এত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আগুন দেয়ার বিষয়টি রহস্যময়। আমরা বিষয়টি কিছু বুঝতে পারছি না।
অবশেষে ত্রাণ গ্রহণ করলো সাঁওতাল পল্লীর বাসীন্দারা
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গতকাল বুধবার দুপুরে মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া সাঁওতাল পল্লীর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে বরাদ্দকৃত ত্রাণ অবশেষে গ্রহণ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালরা।
গত ১৪ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হান্নান কম্বলসহ খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দুটি ট্রাক সাঁওতাল পল্লীতে গেলেও সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দারা ওইসব ত্রাণ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিলেও গতকাল তা গ্রহণ করেছে তারা। ত্রাণ বিতরণ কালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ্জ জোহরা, গোবিন্দগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহম্মদ আলী, গোবিন্দগঞ্জের পিআইও জহিরুল ইসলাম। এসময় ১৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল পরিবারের প্রতিটি পরিবারকে ২টি কম্বল, ২০কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, ১কেজি আলু, ভোজ্যতেল, আধা কেজি লবণ বিতরণ করা হয়।
অপর দিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি টিপু ১৫০পিস শাড়ী ও ১শ’পিস লুঙ্গী সাঁওতাল পরিবার গুলোর মধ্যে বিতরণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।