পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট অফিস
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলনের পরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি। দলীয় এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পর সিলেট যাত্রা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৩ নভেম্বর তিনি সিলেট যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষনেতারা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। শীর্ষ নেতাকর্মী থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। এছাড়াও নগরীর প্রতিটি পাড়ায় চলছে মাইকিং। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৩ নভেম্বর সিলেট যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন জালালাবাদ সেনানিবাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। পরে তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ভাষণ দেবেন। এক বছরের মধ্যে এটা হবে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সিলেট সফর। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি তিনি সিলেট সফরে এসে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই একই স্থানে এবারও বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সরকারি দলের সিলেট অঞ্চলের নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয়। প্রায় প্রতিদিন নগরীর আনাচেকানাচে মাইক দিয়ে প্রচারণা চলছে। উৎসাহী নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য দলীয় নেতৃবৃন্দের ছবির সাথে নিজের ছবি সংবলিত ব্যানার- ফেস্টুন টানাতে শুরু করেছেন। সেগুলো শোভা পাচ্ছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং রাজপথের আশপাশে। ইতোমধ্যে চৌহাট্টা পয়েন্টে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন তোরণ সকলের নজর কাড়ছে। দু-একদিনের মধ্যে তোরণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী।
তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফর করলে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে অনেকগুলো তোরণ নির্মাণ করেন। গত জানুয়ারির সফরে তো শতাধিক তোরণ নির্মিত হয়েছিল। এবার সে সংখ্যাটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে নগরীর জিন্দাবাজার, জল্লারপার, লামাবাজার, তালতলা, রিকাবিবাজার, মিরের ময়দান, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, সুবহানীঘাট, শাহজালাল ব্রিজ, কিনব্রিজ, কাজিরবাজার ব্রিজের দুই দিকেই প্রচুর ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের আগমন উপলক্ষে সিলেটের আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিটে গেছে। অতীতে সাংঘর্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করলেও বড় কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ বিভেদ ভুলে এক হয়ে যান তারা এমনই জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যেই সিলেট নগরী ও প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন তারা। মূল দল এবং অঙ্গসংগঠনগুলোকে সংগঠিত করতে করা হচ্ছে কর্মিসভা। অঙ্গসংঠনের ইউনিটগুলোও এক হয়ে কাজ করার জন্য করছে কর্মিসভা ও প্রচার মিছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।