পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সয়াবিন তেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কারচুপির কারণে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। দামও বেড়েছে। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করাকে নিজের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট কেন তৈরি হলো, তেলের দাম কেন বাড়ল, তা জানাতে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ব্যবসায়ী, মিলারসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, এস আলম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ, টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিকুল আথহার তাসলিম, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যরা।
বৈঠক শেষে টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট কেন তৈরি হলো, আমরা তা খুঁজে পেয়েছি। এই কারচুপি বড় গ্রুপের কেউ করেনি। করেছে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। যারা কারসাজি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ডিলারশিপ বাতিল করতে মালিকদের বলেছি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অভিযান চলবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের আমি বিশ্বাস করে বলেছিলাম আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা দাম বাড়িয়েছে। তাদের ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলাম যে আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তাদের বিশ্বাস করা ছিল আমার ব্যর্থতা। এভাবে বলা আমার ঠিক হয়নি।
টিপু মুনশি বলেন, আগামী জুন মাস থেকে এক কোটি পরিবারকে সুলভমূল্যে তেল দেওয়া হবে টিসিবির মাধ্যমে। আপাতত টিসিবির তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। প্রতি লিটার তেল ১১০ টাকা করেই বিক্রি হবে। তেল নিয়ে সিন্ডিকেট হয়নি। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে, তাই আমাদের দেশেও বাড়বে, এটা অঙ্ক। এই দাম বাড়ার কথা ছিল রোজার আগেই। কিন্তু সরকার চায়নি রোজায় তেলের দাম বাড়ুক। সেই সময়ে কিছু অসাধু ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ী তেল মজুত করে রেখেছিল। সে জন্য বাজারে তেলের সংকট তৈরি হলো। বাজারে গেলে তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে হবে-এমনটা যারা বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
সভায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, তেলের দাম বাড়ছে এবং বাজারে তেল নেই, এটার জন্য মিলমালিক দায়ী নন। তেল বাজারে আছে, তেল বাজার থেকে শেষ হয়ে যায়নি। হঠাৎ করে ৫ তারিখ তেলের দাম বাড়ার সিদ্ধান্তে বাজারের খুচরা বিক্রেতারা সংকট সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত তেলের মজুত আছে। তেলের সংকট তৈরি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দু-এক দিনের মধ্যে বাজারে তেলের সরবরাহ আরও সহজ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।