পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়াকে নিরহংকার, প্রচারবিমুখ ও অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যেহেতু আমি আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ সহকারী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছি, সে জন্য তাকে নিয়ে আমারও কিছু স্মৃতি আছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন নিভৃতচারী, নিরহংকার, মিতভাষী মানুষ ছিলেন। সবাইকে আপন করে নিতেন। আজ সোমবার (৯ মে) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী সেটি অনেকেই জানত না। নিজ নামেই পরিচিত এ মানুষটি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার গবেষণালব্ধ বই ভারতে পাঠ্য বই হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ড. হাছান বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা জঘন্য হত্যাকাণ্ডে নিহত হওয়ার পর দুঃসহ বেদনাক্লিষ্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে সাহস দিয়ে আগলে রাখার মহান ও কঠিন কাজটি ড. ওয়াজেদ মিয়া করেছেন। ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সালটি সম্ভবত ২০০৫, সুধা সদনের আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আছি, তিনি বলছেন তার মনটা একটু ভালো, কারণ বাড়ির ঋণটা শোধ হয়েছে। আমি বললাম, দুলাভাই, কোন বাড়ির ঋণ? তিনি সুধা সদন দেখিয়ে বললেন, এ বাড়ির ঋণ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি আমলে নানা মানসিক নির্যাতন। পরে জরুরি অবস্থার সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার ফলে তার ওপর যে মানসিক নির্যাতন হয়েছে। তারপর ড. ওয়াজেদ মিয়া যে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেননি। ‘সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’ মির্জা ফখরুল এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক, তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। কিন্তু বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। আসলে ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’ একটা কথা আছে, বিএনপির ক্ষেত্রে এটিই প্রযোজ্য। আশা করব বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।