Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : ১২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১১০০ নম্বর করা হোক

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা পদ্ধতি সৃজনশীল। এ পদ্ধতিতে মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করার কথা। নোট বা গাইড বই ব্যবহার করার কথা নয় এবং কোচিংয়েও পড়ার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পাঠ্যবইগুলো সৃজনশীল পদ্ধতি অনুসারে লেখা হয়নি। আবার বইগুলো বোঝার উপযোগী করেও লেখা নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে নোট কিনছে। দ্বিতীয়ত, পাঠ্য বিষয়ের সিলেবাস অনেক ব্যাপক। ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আগে এসএসসি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের ১০টি (মোট ১০০০ নম্বরের) পরীক্ষা দিতে হতো। বর্তমানে ১০০ নম্বরের ১১টি ও ৫০ নম্বরের ২টি (মোট ১২০০ নম্বরের)সহ মোট ১৩টি পরীক্ষা দিতে হয়। বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩টি নতুন বিষয় সামাজিক বিজ্ঞান (১০০ নম্বর), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (৫০ নম্বর) এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা (৫০ নম্বর) যোগ করা হয়েছে। লক্ষণীয় যে, তিনটি বিষয়ের জন্য কিন্তু স্কুলের সময় বাড়ানো হয়নি। এ জন্য আগের বিষয়গুলোর ক্লাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং বিজ্ঞান শাখার বিষয়গুলোর সিলেবাস ভালোভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। এছাড়া ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়টি ৫০ নম্বরে হলেও এর সিলেবাস ব্যাপক এবং বিষয়টি অধিকাংশই ব্যবহারিক। এ বিষয়ে ভালো করতে হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ক্লাসে একটি করে কম্পিউটারের ব্যবস্থাসহ ১ ঘণ্টা করে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে তিনটি ক্লাস প্রয়োজন। বাস্তবে অধিকাংশ স্কুলের পক্ষে তা সম্ভব নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা কোচিং এবং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যেতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় পাঠ্যবইগুলোকে বোঝার উপযোগী করে রচনা করতে হবে- যেন নোট বই ব্যবহার করতে না হয়। আর পাঠ্য বিষয়গুলোর ব্যাপকতা কমাতে হবে। এ পদক্ষেপগুলো সময়সাপেক্ষ। বর্তমান পরিস্থিতিতে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার সিলেবাস থেকে ‘সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ব্যবসা শিক্ষা ও মানবিক শাখা থেকে ‘সাধারণ বিজ্ঞান’ বিষয়গুলো বাদ দিয়ে এসএসসিতে সর্বমোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তাহলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপ কিছুটা হলেও কমবে। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. কামালউদ্দিন বাহাদুর
দাপা ইদ্রাকপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ।


অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করা প্রসঙ্গে
আমি একজন ব্যাংকার। অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করে কিছু অসাধু কর্মচারী বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরত না আসায় সম্প্রতি সরকার শুধু সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুকূলে অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বিভিন্ন সেক্টর/করপোরেশনের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাষ্ট্রীয় বা গণতান্ত্রিক একটি অধিকার বা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হলো। সুবিধা বলছি এ কারণে যে, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি অফিসিয়াল পাসপোর্টের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু অফিসের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করে অফিসিয়াল পাসপোর্ট দ্বারা ঙহ ধৎৎরাধষ ারংধ-তে ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমণ করা যায়। এতে দূতাবাসে গিয়ে ভিসা নেওয়ার বিড়ম্বনা পোহাতে হয় না- অর্থ, সময় ও শ্রমেরও কিছুটা সাশ্রয় হয় বলে পরোক্ষভাবে প্রতিষ্ঠানেরও কিঞ্চিৎ উপকার সাধিত হয়। এছাড়া চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অফিসিয়াল পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে হয়। ফলে একই ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে দু’ ধরনের পাসপোর্ট ব্যবহার করলে ভ্রমণের প্রাক্কালে অহেতুক ঝামেলা বা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। প্রয়োজনে এ পাসপোর্টকে বিশেষ পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য করে এর ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যেতে পারে; এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে সকল সেক্টরে কর্মরত প্রথম শ্রেণী বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল পাসপোর্ট প্রদান অথবা বর্তমানে যাদের অফিসিয়াল পাসপোর্ট রয়েছে, নবায়নের ক্ষেত্রে শুধু তাদেরকে অফিসিয়াল পাসপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. আবদুল আলী
৮৫/৩, কদমতলা (১০ নম্বর লেন)
ঢাকা-১২১৪



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : ১২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১১০০ নম্বর করা হোক
আরও পড়ুন