পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্বজনদের এক কেলেঙ্কারির পর এই ধরনের পরিচয়ে কেউ বাড়তি সুবিধা চাইলেও তা না দিতে রেলকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এমন এক আদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় জারি করেছে। তা পাঠানো হয়েছে রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক, সব স্টেশনের ম্যানেজার, স্টেশন মাস্টার, ট্রেনের পরিচালককে।
রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, রেলপথমন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অগোচরে তাদের রেফারেন্সে আত্মীয়/পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে টিকেট দাবি করা, ট্রেনে উঠে বিশেষ সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেকেই মন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী সচিব এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে রেলের পরিচালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করছেন। এ ধরনের সুবিধা যারা চাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং যেসব মোবাইল নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে সেই নম্বরগুলো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়ে ওই ব্যক্তিদের সঠিক পরিচয় জানার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
এই ধরনের ক্ষেত্রে রেল কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত না হয়ে দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। গত ৪ মে নিয়ম অনুযায়ী দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় বরখাস্ত হতে হয়েছিল রেলের টিটিই শফিকুল ইসলামকে। ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী তিন যাত্রী বিনা টিকেটে এসি কেবিনে ভ্রমণ করতে দেখে জরিমানা করেছিলেন তিনি। ওই তিনজন ছিলেন রেলমন্ত্রী সুজনের আত্মীয়। তারা সেই পরিচয় দিয়ে বাড়তি সুবিধা চাইলেও তা দেননি টিটিই শফিকুল।
তাকে বরখাস্তের পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে রেলমন্ত্রী সুজন টিটিই শফিকুলকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে বলেন, শফিকুল সেদিন দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করছিলেন। সুজন বলেন, তার স্ত্রীর তিন স্বজন ছিলেন ওই ট্রেনের যাত্রী। তার স্ত্রীর অভিযোগে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বরখাস্তের আদেশ দেওয়া বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশীর ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে এখন কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এদিকে টিকিট পরীক্ষককে (টিটিই) বরখাস্তের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তারই দায় দেখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি গতকাল এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করা রেলের কর্মকর্তাদের ‘সমীচীন’ হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।