পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দোকানে না থাকলেও দোকানির বাসা বাড়ি গোপন কুঠুরিতে মিলছে সয়াবিন তেল। মহানগরী ও জেলায় পৃথক অভিযানে বিক্রি না করে মজুদ করে রাখা সাড়ে তিন হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নগরীর কর্ণফুলী বাজারে একটি দোকানে গোপন কুঠুরি বানিয়ে এক হাজার লিটারের বেশি তেল মজুদ করে রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ফটিকছড়ি উপজেলায় এক মুদি দোকানির বাড়িতে মিলেছে প্রায় আড়াই হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল। গতকাল রোববার নগরীর ষোলশহরে কর্ণফুলী মার্কেটের ‘মেসার্স খাজা স্টোরে’ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শনিবার রাতে ফটিকছড়ির বাগানবাজার এলাকার দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামে মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের একটা ক্রাইসিস আছে। আমরা সঙ্কটের কারণ অনুসন্ধানে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালাই। কর্ণফুলী মার্কেটে খাজা স্টোরে অভিযানে দেখতে পাই, সামনে কয়েকটি সয়াবিনের বোতল রাখা হয়েছে। কিন্তু এর নিচে পাটাতন দিয়ে আড়াল করে গোপন কুঠুরি বানিয়ে রাখা হয়েছে আরও তেলের বোতল। ফ্রেশ, রূপচাঁদা, পুষ্টিসহ বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল আমরা সেখানে পাই। এক হাজার ৫০ লিটার তেল আমরা সেখান থেকে জব্দ করেছি। এসব তেলের উৎপাদনের তারিখ গত এপ্রিলের। মজুদ রেখে পরে বাড়তি দামে বিক্রির জন্য সেগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মালিক প্রথমে নিজেকে কয়েকটি কোম্পানির ডিলার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি এটি সত্য নয়। অবৈধভাবে তেল মজুদের অপরাধে খাজা স্টোরের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা সয়াবিন তেলগুলো ভাউচার দেখে আগের দামে খুচরা দোকানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শনিবার রাতে ফটিকছড়ির হেয়াকো বাজারের মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাগানবাজারের বাড়িতে অভিযান চালান ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। তার বাড়ি থেকে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এস এম আলগমীর বলেন, বাজারে সঙ্কটের মধ্যে আকতার হোসেন তেলগুলো বাড়িতে নিয়ে মজুদ করেছিল। অনেকটা গোপন একটি কক্ষে এমনভাবে রাখা হয়েছিল, যাতে কিছুই বোঝা না যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। সবগুলো তেল ফ্রেশ ব্র্যান্ডের। এসব তেল মজুদ করা হয়েছে সম্প্রতি সরকারিভাবে নতুন দর নির্ধারণের আগে। তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তেলগুলো আকতারের আগের দামে বিক্রির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।