পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবজি গেম, পর্নোগ্রাফিসহ ও বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে আসক্তির জেরে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে যাওয়া ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার র্যাব-৭ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অভিক দে নামে ওই কিশোর দশম শ্রেণির ছাত্র। ১২ বয়স বয়সেই তাকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হয়। গত দুই বছর ধরে সে পাবজি গেমে আসক্ত। পাবজি গেম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও সে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে সারাক্ষণ পাবজি ও অন্যান্য এডাল্ট ওয়েবসাইটে বিচরণ করত। যার কারণে পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রায় সময় বকাঝকা করতেন।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মোবাইলে গেম খেলছিল কিশোর। পড়া বাদ দিয়ে গেম খেলার কারণে বাবা প্রভাস দে ও মা কনিকা দে তাকে শাসন করেন। এক পর্যায়ে তার বাবা বলেন, তোমার রোজগার তুমি করে খাও। এই কথা শোনার পর ওই কিশোর রাগ করে তাদের গণি কলোনীর বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ছেলেকে না পেয়ে বাবা-মা চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে জিডির কপিসহ র্যাবের কাছে একটি আবেদন করা হয়। র্যাব জানায়, ঘর থেকে বের হয়ে ওই কিশোর নগরীর অলঙ্কার এলাকার এশটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নেয়। এক মাস ২২ দিন চাকরি করে সেখান থেকে চলে যায় চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় এলাকার আরেকটি রেস্টুরেন্টে। সেখানে কিছুদিন চাকরি করে সে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউ চান্দগাঁও রেস্ট হাউজে চাকরি নেয়। উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিল।
রেস্টহাউজে চাকরি করার সময় সেখানে এশটি মোবাইল পায় কিশোর। তা দিয়ে সে আবার পাবজি গেম ও বিভিন্ন এডাল্ট ওয়েবসাইটে বিচরণ শুরু করে। মোবাইলে নতুন সিম ও নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করে। নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে খুঁজে পেতে তার পরিবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। এছাড়া ফেসবুকে এশটি পেজ খুলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।
নিখোঁজ হওয়া ওই কিশোর তার নতুন ফেসবুক একাউন্ট থেকে বিভিন্ন কমেন্ট করত। সেই কমেন্টগুলো পড়ে ও বিভিন্ন আলামত পেয়ে ওই কিশোরকে শনাক্ত করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ মে রাতে তাকে চান্দগাঁও থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর বাবা-মা এসে তাকে শনাক্ত করে।
জিজ্ঞাবাদে ওই কিশোর জানিয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের একটি গ্রুপের সঙ্গে তার চলাফেরা ছিল। ওই গ্রুপের সদস্য হান্নান পোল্যান্ড থাকে এবং জয় থাকে কাতারে। এরা যখন ছুটি পেয়ে দেশে থাকেন তখন এই উশৃখল ও বিকৃত রুচির কার্যক্রম বেড়ে যায়। ওই গ্রুপের সদস্যরা পরস্পর এডাল্ট ভিডিও শেয়ার করতেন ও ইন্টারনেট পর্নোগ্রফিতে আসক্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।