পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফের ব্যয় বাড়ছে ১০০টি উপজেলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনে। এজন্য দ্বিতীয়বার সংশোধন করতে হচ্ছে ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প। এক্ষেত্রে মূল ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৯২৪ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এরপর বিশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে আবারও ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এবার ১৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাড়িয়ে দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ৫২০ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্পটি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানসহ দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে অনাবাসিক ভবন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, কয়েকটি টিএসসির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিলম্ব, সময়োপযোগী ট্রেডের সংযোজনের জন্য আধুনিক প্রকৌশল যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং কিছু খাতের ব্যয় হ্রাস বৃদ্ধিসহ কোভিড-১৯ মহামারির উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় অবশিষ্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ৩ বছর বৃদ্ধিসহ প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনের প্রয়োজন আছে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, বিভিন্ন জটিলতায় ২০১৪ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া সীমানা নির্ধারণে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা, নির্বাচিত নিচু জমির উন্নয়ন, প্রি-কাস্ট পাইলিং, সয়েল টেস্টে বিলম্ব ইত্যাদি বিভিন্ন জটিলতায় নির্মাণকাজ শুরু করতে অধিক সময় ব্যয় হয়েছে। তাছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রকল্পটির কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব করা হয়নি। এ জন্য বর্তমানে ২ হাজার ৫২০ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৪ সালের জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল অনুমোদিত ব্যয় অপেক্ষা ১৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং ভৌত অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ বিলম্ব বিভিন্ন জটিলতায় ২০১৪ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের প্রধান অঙ্গ ভূমি অধিগ্রহণ এবং নির্মাণে কোনো অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। অতঃপর ২০১৭ সাল হতে ২০১৯ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ভূমির অধিগ্রহণ অর্থাৎ ৯৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের (টিএসসি) ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এছাড়া সীমানা নির্ধারণে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা, নির্বাচিত নিচু জমির উন্নয়ন, অধিকাংশ ভূমিতে প্রি-কাস্ট পাইলিং, পানি জমে থাকায় সয়েল টেস্ট করতে বিলম্ব ইত্যাদি জটিলতায় নির্মাণকাজ শুরু করতে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক সময় ব্যয় হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।