পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খুলনা ব্যুরো : খুলনা ওয়াসায় সরবরাহকৃত পানির বিল শতকরা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। ওয়াসার ৪০তম বোর্ড সভায় পানির মূল্য বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পূর্ণ ঘোষণা ছাড়াই এ বর্ধিত চার্জ বছরের শুরু জানুয়ারি থেকে কার্যকর করছে। এদিকে, খুলনা মহানগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। চাহিদার বিপরীতে ওয়াসার পানি সরবরাহ করছে মাত্র ৪ কোটি ৮০ লাখ লিটার। চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ ওয়াসা চার্জ বৃদ্ধি করায় ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে নগরবাসীর মধ্যে।
ওয়াসা সূত্র জানায়, মিটারধারী গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার পানির জন্যে ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ৪ টাকা হারে বিল প্রদান করতে হয়েছে। এখন সেটা বেড়ে হবে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। মিটার ব্যতীত সরাসরি পাইপ সংযোগের মাধ্যমে যারা পানি সরবরাহ নেন তাদের সংযোগ সাইজ অনুযায়ী বিল নির্ধারিত রয়েছে। আধা-ইঞ্চি সাইজের সংযোগের আগের মাসিক বিল ৪৫ টাকার স্থলে নতুন বিল হয়েছে ৫৪ টাকা। ৩/৪ ইঞ্চি সাইজ সংযোগের আগের মাসিক বিল ৭০ টাকার স্থলে এখন দিতে হবে ৮৪ টাকা।
এক ইঞ্চি সাইজের সংযোগে আগের রেট ছিল ২০০ টাকা; এখন হয়েছে ২৪০ টাকা, দেড় ইঞ্চি সাইজে আগে ছিল এক হাজার ২০০ টাকা, এখন হয়েছে এক হাজার ৪৪০ টাকা এবং দুই ইঞ্চি সাইজ সংযোগে পূর্বে বিল ছিল দু’হাজার টাকা, এখন দিতে হবে ২ হাজার ৪০০ টাকা। গত জানুয়ারি মাস থেকে এ বিল ধার্য হয়েছে।
ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক খাদেমুল ইসলাম জানান, বিল বাড়ানোর বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জানুয়ারি মাসের বিল এখন পাঠানো হচ্ছে। বিল হাতে পেলে গ্রাহকরা বৃদ্ধির ব্যাপারটি জানতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০০৮ সালের মার্চ মাসে খুলনা ওয়াসা গঠিত হয়। এর আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করত। পানি ব্যবস্থাপনা ওয়াসার কাছে হস্তান্তরের সময় যে হারে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল আদায় করা হতো, এতদিন সেটাই অব্যাহত ছিল। এই প্রথম পানির বিল বাড়ানো হল।
ওয়াসার কয়েকজন নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছর দুই আগে একবার এ বিল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের দাবির মুখে সে চেষ্টা স্থগিত রাখা হয়। তখন ওয়াসা ঠিকমতো পানি সরবরাহ করতে পারে না, অথচ পানির বিল বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর ওয়াসা সমস্যা সমাধানের নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে জাইকা ও এডিবির সহায়তায় ওয়াসা লবণাক্ততা অধ্যুষিত নগরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা পূরণের জন্যে কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তাবায়ন করছে। এছাড়া ওয়াসার ব্যয় বৃদ্ধিও হয়েছে। এ অবস্থায় পানির মূল্য বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় ছিল না। ওয়াসার অন্য কোনো আয়ের উপায়ও নেই। নগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জি.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার পানি ঠিকমতো আসে না। অন্যের বাড়িতে গিয়ে পানি আনতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পানির মূল্য বাড়ানো উচিত হয়নি।
এ ব্যাপারে খুলনা ওয়াসার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (অর্থ ও প্রশাসন) ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানুয়ারি ২০১৬ থেকে কার্যকর করা হচ্ছে। গত মাস থেকেই গ্রাহকদের বর্ধিত হারে বিল পাঠানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।