পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশবিরোধী অপশক্তিকে সাথে নিয়ে মিথ্যাচার আর গুজব রটানোই বিএনপির রাজনীতি। দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন তারা চোখে দেখে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে বিএনপি-জামায়াতকে দেখা যায়নি। অন্য কোনো দলকেও দেখা যায়নি। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, করোনাকালীন নানা ধরণের সহায়তা দিয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। এবং এটি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন নেতা ও জাতীয় সংসদের অনেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অন্যকোন দলের ক্ষেত্রে এ রকম হয়নি। এবার মানুষ অত্যন্ত আনন্দ উল্লাসের সাথে নির্বিঘ্নে গ্রামে গিয়ে ঈদ উর্দযাপন করেছে। এটি অভাবনীয়, অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন উল্টো কথা, কারণ তাদের কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার করা এবং এর মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেভাবে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। তা শেখ হাসিনা’র যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। সরকারের এই সাফল্যগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যে অপপ্রচার করছে তার বিরুদ্ধে জনগণের কাছে সত্যপ্রচার করতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে।
তিনি বলেন, দলের প্রতি যাদের ত্যাগ আছে, নিষ্ঠা রয়েছে, দলের দুঃসময়ে যারা দলের প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছে তাদেরকে দলীয় নেতৃত্বের আসনে বসাতে হবে। দলীয় নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কার অর্থ-বিত্ত আছে তা কখনও বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের দলের সভাপতি তা কখনও বিবেচনায় আনেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও আনেননি।
তিনি বলেন, সবাই এখন আওয়ামী লীগ করতে চায়, সবাই এখন নৌকায় উঠতে চায়। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। সমাজে যারা ধিকৃত, মাদক-চোরাকারবার, জায়গা দখলের সাথে জড়িত, চাঁদাবাজি বা অন্যান্য অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদেরকে আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক মুকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাহাদুর আহমেদ সোহেল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।