Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় সংঘর্ষ

আহত ৮

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

পটুয়াখালীর পায়রা সেতুর টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন এর স্বজনদের সাথে সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে লেবুখালী পায়রা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যর বড় ছেলের নতুন বউ নিয়ে ফেরার পথে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
পায়রা সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সিসি টিভি ফুটেজ থেকে আমরা অনেক কিছু স্পস্ট হয়েছি। আমি যেহেতু ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি জানতে পেরেছি, একটি বিয়ের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ী ব্রীজ পার হয়ে টোল প্লাজায় আসার পর ব্রীজের টোল চাইলে গাড়ী থেকে নেমে মহিলা এমপি’র পরিবারের সদস্য পরিচয় দেয়া হয়। এ সময় তাদের তথ্য যাছাই বাছাই করার এক পর্যায়ে গাড়ী থেকে নেমে কয়েকজন যুবক টোল আদায়কারী স্টাফদের সাথে কথা কাটাকাটির পর মারধর শুরু করে এবং সুপারভাইজার রাসেলেকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়। এসময় আমাদের বেশ কয়েকজন স্টাফ আহত হন। পরে তারা অফিস রুমে এসেও আমাদের মারধর করে। এসময় টহল পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব না হওয়াও তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা হচ্ছেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার রাসেল, স্টাফ বাবুল, সুবজ এবং মাহবুব।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে পায়রা সেতুর টোল প্লাজার লোকজন বলে, ঈদের বকসিস দিয়ে যান। তখন ছোট ছেলে বলছে, আসার পথে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিবো। যাওয়ার সময় কিছু হলো না। কিন্তু বরিশাল থেকে পটুয়াখালী আসার পথে হটাৎ টোলপ্লাজা এলাকার স্টাফরা বড় ছেলে, ছোট ছেলের সঙ্গে অনেক অনেক বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে ছোট ছেলের বন্ধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আশিককে টেনে হিঁচড়ে টোলপ্লাজার নিচ তলায় নিয়ে বেদম প্রহার করে। এসময় তার সাথে থাকা আইফোন, ড্রাইভারের স্মার্ট ফোন ছিনতাই করে। গাড়ির ভিআইপি হর্ন নিয়ে গেছে। এছাড়া নতুন পুত্রবধূর ডান হাতের তিন আঙ্গুলের ফলছ নক নিয়ে গেছে। এসময় হাতের স্বর্নের বালাও নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় টোলপ্লাজার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশ এবং র‌্যাবের উর্ধ্বতন সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পায়রা সেতুর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ