Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক -শিল্পমন্ত্রী

রপ্তানি পাটে বাড়তি শুল্ক

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক সুদৃঢ়। আমাদের দেশের পাটের ওপর আরোপ করা বাড়তি প্রতিরোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করলে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তবে বাংলাদেশের পাটের ওপর ভারতের প্রতিরোধমূলক বাড়তি শুল্ক আরোপ দুঃখজনক। পাটজাত পণ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেজন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি অন ইম্পোর্টস অব জুট অ্যান্ড প্রোডাক্টস ফ্রম বাংলাদেশ বাই ইন্ডিয়া : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে আউট’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার চলতি ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের সাতটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে, এর মধ্যে পাটজাত পণ্য অন্যতম। এ সময় ভারতে পাটজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরো প্রত্যাশিত নয়। তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমরা ব্যবসা খাতে উন্নতি করতে চাই। এজন্য ভারতকে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সচেতন থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, ভারত অনেক বড় একটি দেশ। তাই ভারতকে আমাদের পাশে এগিয়ে আসতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে পাটজাত পণ্যের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। পাটজাত পণ্য বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকার অনেক রপ্তানি পণ্যের ওপর নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, ভারতও প্রায় সব রপ্তানি পণ্যের ওপর ভর্তুকি দিয়ে আসছে। তবে অ্যান্টি ডাম্পিং, কাউন্টার ভেলিসহ বিভিন্ন ডিউটি আরোপের ফলে আশানুরূপ রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এটাকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া আমাদের দেশে যেসব পাটশিল্প কারখানা বন্ধ রয়েছে সেগুলোও নতুন করে খোলার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আমরা অর্জন করব ৫০ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া আমাদের পাট বিশ্ববাজারে সমাদৃত। তাই আমরা এই পাটজাত শিল্পকে আরও বেশি বিকশিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. এনির চৌধুরী, ভারতের জেপিআইএ এর চেয়ারম্যান সন্দিপ শারাফ, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কর্মাস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হুসাইন খালিদ প্রমুখ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক -শিল্পমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ