পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
তৈরি পোশাক খাতের মতো রপ্তানিমুখী অন্যান্য শিল্পকারখানাগুলোকেও কমপ্লায়েন্স বা আদর্শ মানে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছেন সফরকারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও শ্রমিক অধিকার সুরক্ষার কথা বলেছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিটির সফরকারী প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এমন পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। বৈঠক শেষে বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি। ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান পিয়েরে মায়দন, বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও মোহাম্মদ নাসির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে সেটা এখন পরিস্কার। বাংলাদেশে যখন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় পৌঁছবে, তখন এই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ধরনও নিশ্চয় পরিবর্তন হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত জিএসপি সুবিধার পরিবর্তে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে শ্রমিক অধিকার, পরিবেশগত নিরাপত্তা ইস্যু ও কর্ম পরিবেশের উন্নতির মতো সূচকে বাংলাদেশেকে ভালো করতে হবে বলে জানান তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তাদের একজন কর্মকর্তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ২০১৮ সালের জুনে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ ধরনের তৎপরতার প্রয়োজন হবে কিনা। আমরা বায়ারদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। তবে সেক্ষেত্রে দুইপক্ষ কিভাবে চলবে সে বিষয়ে নতুন একটি রূপরেখা ঠিক করা হবে। কারখানার সংস্কারে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিভিন্ন শর্ত পূরণের সময়সীমা ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে হলেও এর আগে ২০১৭ সালের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই অ্যাকর্ডভুক্ত ৭০ শতাংশেরও বেশি এবং অ্যালায়েন্সের তালিকাভুক্ত ৬০ শতাংশের বেশি কারখানায় সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে।
জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার বিষয়েও নিজের আশাবাদের কথা জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা আশা করছি শ্রমিক অধিকার ও কর্মপরিবেশগত সুবিধার উন্নতি করতে জিএসপি প্লাসের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, বাংলাদেশ এখনই তা পূরণের দ্বারপ্রান্তে আছে। ফলে সময় মতো জিএসপি প্লাস পেতে এর শর্ত পূরণ করতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।