পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ভূমিকা রাখার আহŸান ষ স্থায়ী কমিটি ও স্বজনদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদমুক্ত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। পবিত্র ঈদুুল ফিতরের দিন গত মঙ্গলবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা গুলশানে চেয়ারপারসনের ভাড়া বাসা ফিরোজায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে বেগম খালেদা জিয়া এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। প্রায় এক বছর পর ঈদের দিন রাত আটটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান ফিরোজায় প্রবেশ করেন। এক ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘ফিরোজা’র দোতলায় দলীয় প্রধানের সঙ্গে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতারা জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেক দুুর্বল। তবে মানসিকভাবে তিনি বেশ চাঙ্গা আছেন। এর আগে ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার তার বাসায় যান। তাদের নিয়ে বেগম জিয়া দুপুরের খাবার খান। সর্বশেষ ২০২১ সালের কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়ার দেখা পেয়েছিলেন এই নেতারা।
গত রোজার ঈদে বিএনপি চেয়ারপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপি প্রধানকে। এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাত পান না। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গত মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল ফিরোজার সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে দোয়া করেছেন এবং তার নিজের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে, গণতন্ত্র ফিরে পায়, মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়- এই প্রার্থনা করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। খাবার টেবিলে হেঁটে যেতেও তার খুব কষ্ট হয়- এটাই বাস্তবতা। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কোনো বার্তা আছে কিনা- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি একই কথা বলেছেন, তারা যেন দেশের জন্য ভালোবাসা প্রবল করে এবং দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে। তিনি বলেন, এই অসুস্থতার মধ্যে তিনি (খালেদা জিয়া) পূর্বেও যেমন দেশবাসীর কথা চিন্তা করেছেন সবসময়- আজকেও তিনি ঠিক একইভাবে দেশের মানুষের অবস্থার কথা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানের সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি আমাদের দ্বারা অবগত হয়েছেন। তিনি কাগজেও (দৈনিক পত্রিকা) পড়েছেন, তারপরও তিনি আমাদের কাছ থেকে শুনেছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।