পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মানিতে একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট ২শ’টিরও বেশি ফ্ল্যাট বাড়ি, অফিস এবং দুটি মসজিদে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। এই গোষ্ঠীটি ইসলামিক স্টেটের জন্য যোদ্ধা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ বলছে।
‘ট্রু রিলিজিয়ন’ (ডিডব্লিউআর) বা ‘সত্য ধর্ম’ নামের এই গোষ্ঠীটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তারা বহু তরুণকে উগ্র পন্থায় দীক্ষিত করার কাজে রত ছিল বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্দেহ করছে। ভোরে সারা জার্মানিজুড়ে এ অভিযান চালানো হয়। লক্ষ্যবস্তুগুলো ছিল ব্যাডেন-ওয়ার্টেনবার্গ, হামবুর্গ এবং নর্থ রাইন ওয়েস্টফ্যালিয়ায়।
এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মাইৎসিয়ের বলেন, এই গ্রুপটি ইসলাম প্রচারের নামে জিহাদি ইসলামপন্থীদের একত্র করছিল এবং প্রায় ১৪০ জন তরুণকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করেছিলÑ যারা ইরাক ও সিরিয়ায় গেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, তারা ধর্ম পালনে বাধা দেবার জন্য নয়, বরং এর অপব্যবহার রোধ করার জন্যই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করেছেন। মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, এই গোষ্ঠীটি নিজেই কোনো আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে এমন কোনো আভাস তারা পাননি। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ৯শ’ লোক জার্মানি হয়ে সিরিয়া এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে। তাদের কেউ কেউ যাবার আগে ওই সংগঠনটির সাথে যোগাযোগও করেছে।
জার্মান সরকার বলছে, এই গোষ্ঠীটি জার্মান ভাষায় অনূদিত কুরআন বিতরণ করতো এবং তারা ঘৃণা উস্কে দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এ ব্যাপারে গোষ্ঠীটির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হেস প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার বিউথ বলেন, ‘আমরা উগ্রপন্থীদের বরদাশত করব না। এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করে দেশব্যাপী উগ্রপন্থা ছড়ানোর একটি বড় উৎসকে উচ্ছেদ করা হয়েছে’। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।