পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। গত এক মাসে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ মে ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা) এ অর্থের পরিমাণ ১৭ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এ অংক আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ঈদ উৎসব বা বিভিন্ন পার্বণ উপলক্ষে প্রবাসীরা দেশে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন; তাদের পরিবার পরিজনদের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও রমজানের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এছাড়া প্রবাসী আয়ে এখন আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। রেমিট্যান্স আসার পথও আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। ব্যাংকে, ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়েও সহজে অর্থ পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। ফলে সব মিলিয়ে ঈদে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বলছে, এপ্রিল মাসের ২৮ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকে এসেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।
এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বরাবরের মতো ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আলোচিত সময় ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। এরপর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে ২৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংকে ১২ কোটি ৫৭ লাখ ও সোনালী ব্যাংক ১০ কোটি ৮ লাখ এবং ব্যাংক এশিয়ায় এসেছে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার প্রবাসী আয়। আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোন রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার। চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। অর্থাৎ এখন কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও আড়াই টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছে সুবিধাভোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।