পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে ব্যবহারের মাধ্যমে আবারো শাসকদল তীব্র আওয়ামী অনুভূতিসম্পন্ন সার্চ কমিটি গঠন করতে চাইলে দেশ চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় আনুগত্য থাকবে না এমন ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছে বিএনপিÑ এমনটি জানান রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সার্চ কমিটি গঠন করলে সেটি যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেরই প্রতিফলন হবে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
সেজন্য দলনিরপেক্ষ সার্চ কমিশন গঠনের বিষয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আহ্বান জানিয়ে আসছে বিএনপি।
রিজভী আহমেদ বলেন, একটি কমিটির মাধ্যমে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং নির্বাচনের বিষয়ে যারা দক্ষ, পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার বিকালে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন।
রূপরেখায় কি থাকবেÑ সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, আমি শুধু এতোটুকু বলতে চাই, গণতন্ত্রের পথ চলা এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার যা অবশ্যই কোনো দলের আনুগত্য থাকবে না। এই বিষয়গুলো রূপরেখাতে থাকবে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে বেগম খালেদা জিয়ার এই সংবাদ সম্মেলন হবে।
বিএনপির ভাষায় ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। এরপর গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
নতুন কমিশন আগের বারের মতো এবারও ‘সার্চ কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন। ২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। বিএনপি সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় বিএনপিÑ এ দাবি জানিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এই যদি শাসকগোষ্ঠীর অভিপ্রায় হয়ে থাকে, আগামী জাতীয় নির্বাচন কিরূপ নেবে, তা সহজেই অনুমেয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মধ্যযুগীয় সম্রাটের মতো একচেটিয়া ক্ষমতা ভোগ করেন। এখানে প্রেসিডেন্টের কতটুক স্বাধীন ক্ষমতা আছে, তা দেশবাসী ভালোভাবেই জানেন।
সার্চ কমিটির গঠনের পরিণতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, রকিব উদ্দিন আহমেদের নির্বাচন কমিশন কিভাবে দেশে নির্বাচন করেছে, তা দেশবাসী দেখেছে। আবারো যদি প্রেসিডেন্টকে ব্যবহার করে শাসকদল তীব্র ‘আওয়ামী অনুভূতি সম্পন্ন’ সার্চ কমিটি গঠন করতে চায় তাহলে দেশ চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুুল আউয়াল খান, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, আকম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।