Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখন অচেনা শহর ঢাকা

একলাছ হক | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২২, ১২:০৬ এএম

রাজধানী ঢাকা এখন যেন এক অচেনা শহর। যানজট ও কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড়ে যে শহরটি থাকতো সব সময় বস্ত সেই শহরই এখন যেন হারিয়েছে চিরচেনা রূপ। নেই রাস্তায় যানজট, নেই যাত্রীদের হাঁকডাক। রাজধানীর প্রায় সব এলাকার রাস্তাতেই সুনশান নিরবতা। যাত্রী ও যাত্রী পরিবহন কমে যাওয়ায় রাস্তাগুলোতে নেই কোন ভিড়। রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস কম থাকায় সবাই গন্তব্যে যেতে পারে ঠিক সময়ে।

জানা যায়, পহেলা মে ও ঈদের টানা কয়েকদিন ছুটি পেয়ে যান্ত্রিক নগরী ঢাকা ছাড়ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। এ কারণে যানজটের নগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা। ঢাকার চিরাচরিত সেই যানজট এখন দেখা যাচ্ছে না। যানজট না থাকায় মানুষ সহজেই ঢাকার ভেতরে যাতায়াত করতে পারছেন। ঈদুল ফিতরে দেশের সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ছুটি পেয়েছেন। ঈদের ছুটি মূলত ৩ দিন। তবে ঈদের আগে সাপ্তাহিক ছুটি ও মে দিবসের ছুটি মিলিয়ে এবার ঈদের ছুটি বেড়ে ৬ দিন হয়ে গেছে। ঈদের আগের শুক্রবার ছিল ২৯ এপ্রিল। পরদিন শনিবার। ১ মে রোববার শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি।

একই সঙ্গে এদিন ঈদের ছুটিও শুরু হচ্ছে। এরপর সোম ও মঙ্গলবার ঈদের ছুটি। তবে রোজা যদি ৩০টি হয় সেক্ষেত্রে বুধবারও ঈদের সরকারি ছুটি থাকবে। ফলে টানা ৬ দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। কেউ কেউ আবার ৫ মে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। এতে ৬ ও ৭ মে (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ৯ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন। এমন লম্বা ছুটি মেলায় ঢাকা ছাড়তে মানুষের ঢল নামে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে। কেউ কেউ ঝামেলামুক্তভাবে গ্রামের বাড়ি যেতে আরও আগেই ঢাকা ছেড়েছেন। সবমিলিয়ে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। এতে যানজটের নগরী ঢাকার চিত্র বদলে গেছে।

গতকাল শনিবার মতিঝিল, পল্টন, মালিবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কর্মব্যস্ত অঞ্চলটি প্রায় ফাঁকা। মানুষের আনাগোনা যেমন কম, গাড়ির চাপও তেমনি কম। রিকশা করে অনায়েশে যার যার গন্ত্যব্যে যেতে পারছেন নগরবাসী।

বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে অধিকাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। মতিঝিল থেকে গুলশানে অফিসে গেলাম কোন সমস্যা হয়নি। বছরের সব সময় যদি এমন থাকতো তাহলে ঢাকা একটি আদর্শ শহর হতো। রাস্তায় কোনো যানজট নেই। সহজেই চলে আসতে পেরেছি। রাস্তায় চলতে আশপাশটা দেখতেও ভালো লাগছে।

বাস চালক আবুল কাশেম বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় মানুষ বাড়িতে চলে গেছে তাই রাস্তায় ভিড় কম। রুটে যানজটও নেই। গত দুদিনে প্রচুর মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। রাস্তা এমন থাকলে গাড়ি চালাতে ভালো লাগে। কিন্তু যানজটে আটকে থাকলে খুব বিরক্ত লাগে।

ফুলবাড়িয়া এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, রমজানের শুরু এবং মাঝের সময়গুলোতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন ঈদের ছুটিতে রাজধানীর লোকজন বাড়িতে যাওয়ার কারণে যানজট কমেছে। ঢাকার ভেতরের রাস্তায় গাড়ির চাপও অনেক কমেছে।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ