পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরসহ বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনায় পুলিশের দেয়া চার্জশিট রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। সরকারের মন্ত্রী ও এমপিকে রক্ষা করতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কথা জানান। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় গতকাল (সোমবার) পুলিশ একটি সাজানো মিথ্যা রিপোর্ট দাখিল করেছে। সেখানে ১৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর সঙ্গে বিএনপির নাসিরনগর উপজেলার সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুব দলের সহ-সভাপতি বিল্লাহ হোসেনের নামও জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ওই ঘটনায় দলের দু’জন স্থানীয় নেতার নাম জড়িয়ে পুলিশের রিপোর্ট দাখিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই সাজানো মিথ্যা রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করছি।
রিজভী বলেন, বিএনপির দুই নেতাকে জড়িয়ে রিপোর্ট দাখিল শুধু হাস্যকরই নয়, বরং নিজেদের দুষ্কর্মকে ঢেকে দেয়ার একটি অপচেষ্টা। এটা করা হয়েছে শুধু গায়ের জোরে, নিজেদের অপকর্মে ভারসাম্য আনার জন্যে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে অপকর্ম করেছে, এটা সুস্পষ্ট। দেশবাসী সবকিছু জানেন, যেসব টিম সেখানে গেছেন, তারাও বলেছেন। হিন্দু মহাজোটের নেতারাও বলেছেন, শাসকদলের লোকেরাই এর জন্য দায়ী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্ট সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে, নাসিরনগরের ঘটনাটি আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেই সংঘটিত হয়েছে। এর সাথে স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রী জড়িত। প্রকৃতপক্ষে সরকার তার দলের মন্ত্রী, এমপি ও নিজ দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বাঁচাতেই বিএনপির দুই স্থানীয় নেতার নাম প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
ফেসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরদিন স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।