পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মরহুমের ইন্তেকালের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৫০-এ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ।
তার মৃত্যুতে পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরাও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
ইন্তেকালের পর সামাজিক মাধ্যমে মরহুমের নানা কৃতিত্ব ও অবদান স্মরণ করেছেন অসংখ্য ভক্ত ও গুনগ্রাহী মানুষেরা। অনেকেই মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি দোয়া প্রার্থনা করে পোস্ট দিয়েছেন।
নেটিজেনরা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবার পরিজন ধৈর্য ধারণ করতে পারেন সেজন্য আল্লাহর দরবারে দেয়া প্রার্থনা করেন। ফেসবুকে জামিল আহমেদ ইমন নামে একজন লিখেছেন, ‘‘দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আবুল মাল আবদুল মুহিতকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন। আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন সফল কূটনৈতিক, বুদ্ধিজীবী ও দেশপ্রেমিক জনবান্ধব নেতাকে হারালো। আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।
আ.লীগ নেতা সুমন মেম্বার লিখেছেন, আল্লাহ্ পাক উনার ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।
শাবলু আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি একজন সৎ ও আদর্শ মানুষ ছিলেন। অথচ এদেশের অধিকাংশ মানুষ জানতোই না যে তিনি একজন সৎ মানুষ ছিলেন। কারণ, এদেশের সাধারণ মানুষ মুখোশধারী তেলবাজকে খুব বেশি পছন্দ করেন।
জানা যায়, আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও ভাষাসৈনিক ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা, সকাল সাড়ে ১১টায় সংসদ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় তাঁর লাশ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য সিলেটে নেওয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।