পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720179601](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের পর রাজ পথে সরকার পতনের তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে লক্ষে দলগুলো আন্দোলনের কর্মসূচি ও কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে পরস্পরে মতবিনিময় শুরু করেছে। রাজপথে আন্দোলন জোরদারের লক্ষ্যে এবার ৭টি রাজনৈতিক দল আলাদা রাজনৈতিক মোর্চা গঠন করতে যাচ্ছে। নতুন এই মোর্চা বিএনপিসহ সরকার বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে।
সরকার বিরোধী প্রায় সবগুলো দল ইতোমধ্যে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তবে আন্দোলনের কৌশল কি হবে তা নির্ধারণে দলগুলোর মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রেও অভিন্ন ইস্যুতে যুগপথ আন্দোলনের কথাই ভাবছে তারা।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিরোধী আন্দোলন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সফল হতে পারেনি। তাই এবার তারা জোটগতভাবে আর আন্দোলনে যেতে চাচ্ছে না। একই ইস্যুতে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পৃথকভাবে সব দল রাজপথে থাকার অঙ্গিকার নিয়ে এবার বিরোধী দলগুলো অগ্রসর হচ্ছে। তবে এর মধ্যেও বাম ঘরানার কয়েকটি দল নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির লক্ষে একটি আলাদা রাজনৈতিক মোর্চা গড়ার চেষ্টা করছে। সে লক্ষে গত ২৮ এপ্রিল ৭টি রাজনৈতিক দল রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বৈঠক করে। এতে জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে তারা মনে করেন না। তাই বর্তমান সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন তারা। আর সে দাবি আদায়ের লক্ষে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলনে অংশ নিতেও একমত হয়েছেন।
বৈঠকে জেএসডির সভাপতি আ স ম রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এটা সবার কাছেই এখন পরিস্কার। তাই এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয় ও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিষয়ে আমরা একমক হয়েছি। আমাদের এই দাবির সঙ্গে যারা একমত হবেন তারা সবাই এ দাবিতে রাজপথে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করবো। এভাবে সমমনা সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠবে বলে আমরা মনে করি। আর সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই এ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলগুলো প্রায় সবাই একমত। সরকার পতন আর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যারা আন্দোলন করবে তাদের সাথে ঐক্য গড়ার চেষ্টা আমাদের রয়েছে। আমরা সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক মোর্চা গড়ে তোলার চেষ্টা ছিল। সেটা এবার রূপ পেতে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়েও আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে।
নতুন এই রাজনৈতিক মোর্চার নেতারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে অনেকগুলো বিষয় সামনে থাকলেও আপাতত বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকার গঠনের দাবিটিকেই সামনে রাখছেন তার। ঈদের পর এ সাত দলের নেতারাআবার বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে সাত সংগঠনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। তবে এই মোর্চায় আগ্রহী দলগুলোর যোগ দেওয়ার পথও খোলা থাকবে বলে একাধিক নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।