পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদী থেকে অভিনব কায়দায় পাথর উত্তোলন করে ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত তেঁতুুলিয়ার পাথর শ্রমিকরা। সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তেঁতুলিয়ার পুরাতন বাজার এলাকা থেকে শুরু করে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার নদী এখন পাথর শ্রমিকের দখলে। এতে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক পাথর উত্তোলন করছে।
কৃষি কাজ না থাকায় ঈদের খরচ মোকালোয় পরিবার পরিজনদের নিয়ে নেমে পড়েছে নদীতে। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক একজন শ্রমিক রোজগার করছে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা। সন্ধ্যায় বাজারে এসে হোটেলগুলোতে ভিড় জমাতে দেখা যায় পাথর শ্রমিকদের। তাদের ভিড়ে হোটেলগুলোতে ঠাঁই পায়না সাধারণরা।
কেউ কেউ আবার সেহরী খেয়েই নদীতে নামে টিউব ও কোদাল এবং ঝাকলা নিয়ে। কেউ কেউ লোহার ঝাকলা টেনে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর থেকে টেনে নিয়ে আসে পাথর। এ পাথর পানিতে ভাসিয়ে টিউবে করে নিয়ে আসে নদীর কিনারে। সেখান থেকে আবার ভাড়ে করে নিয়ে আসে সমতল ভুমিতে। সেখান থেকে মহাজনদের কাছে নগদে বিক্রি করে। মহাজনরা আবার বাছাইয়ের মাধ্যমে কয়েক প্রকারের পাথরে পরিনত করে। বিক্রি করে বিভিন্ন দামে। পরে এ পাথর চলে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এসব পাথর দিয়ে রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট ও ইমারত তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাথর উত্তোলনে যে শ্রমিক এর কাজ করে তারা হাড়ভা্গংা পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত তাদের পরিবার পরিচালনা করছে। কোন সময় আবার বিএসএফর বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারপরও চালিয়ে যাচ্ছ পাথর উত্তোলনের কাজ।
তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের পাথর শ্রমিক ঝড়ু মোহাম্মদ জানান, আমার ২ ছেলেকে নিয়ে ভোরে পাথর উত্তোলন কাজে মহানন্দা নদীতে নামি ২ হাজার টাকা উপার্জন করে বাড়িতে ফিরি । বর্তমানে আমার দিন সুখে শান্তিতে যাচ্ছে। ঈদে আমরা ছেলেমেয়ের জন্য কেনাকাটা করতে পেরেছি।
জামাদার গছ গ্রামের হানি, হাফিকুল,রানা, মিজানসহ আরো অনেকে জানায়, আমরা পাথর উত্তোলন করে ভালোভাবেই দিনযাপন করছি। আমাদের সংসারে বর্তমানে কোন অভাব অনটন নাই।
ব্যবসায়ী জাহেরুল জানায়, পাথর উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যেমন শ্রমিকরা তাদের জীবনমান এগিয়ে নিচ্ছে ও তাদের ছেলেমেয়েরাও শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে আমরাও তাদের মাধ্যমে পাথরের ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছি। যার জন্য ছেলেমেয়ের লেখাপড়াসহ সমাজে নানান ধরনের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।