পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, ভালোবাসা দিবসে আমি সকলের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাই। তবে আজকে বিশেষভাবে নারীদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে চাই। নারীর প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে হলে নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল রবিবার ধানম-ি ৩২ নম্বর আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ধানম-ি ৩২ নম্বরে এক ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, শ্রদ্ধাভরে নারীকে মা বলে ডাকবেন, আদর করে নারীকে বোন বলে ডাকবেন, ভালোবেসে নারীকে প্রেমিকা বলে ডাকবেন, বিয়ে করে স্ত্রী বলে ডাকবেন কিন্তু ক্ষমতা, কাজকর্ম, সম্পত্তিতে নারীকে সমঅধিকার দিবেন না-তা হবে না, তা হবে না, তা হবে না। আসুন, আমরা আজ থেকে শপথ নেই- সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকারের বিষয়টি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করবো।
ইনু বলেন, নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। লিঙ্গ বৈষম্য মুক্ত সমাজই প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ। নারীকে সমঅধিকার দেয়া হোক, এর মাধ্যমে নারীর প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে।
তিনি বলেন, নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হলে জঙ্গী দমন করতে হবে। সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হবে। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে। নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বাধা জঙ্গীবাদ। আসুন, নারীর সমঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গীবাদকে কঠোরভাবে দমন করি।
বিশেষ অতিথি জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অনেক ধরণের অনুষ্ঠান হয়, বিভিন্ন ব্যক্তি বা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ দিবসকে নানাভাবে পালন করে। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো। এ জন্য আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ রাজনীতির প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ভালোবাসা, মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুও মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতেন বলে এ দেশের মানুষ তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলো। তিনি বাঙালী জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম আবাসভূমি দিতে পেরেছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আজকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়নে মেল বন্ধন গড়ে তুলতে চায়। যুবলীগের সকল স্তরের সকল নেতা ও কর্মীদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আমরা আজ উজাড় করে দিতে চাই আমাদের মহান শিক্ষক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ডাক-রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনতার মাঝে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলুন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় করুন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বয়ে আনুক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনতার মাঝে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আসুন সকলে মিলে সুদৃঢ় করি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন।
অনুষ্ঠানে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ম-লীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল ইসলাম হাওলাদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান শেষে ধানম-ি ৩২নং বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।