পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পৌরসভার মতোই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এতে কোন ধরনের সহিংস ঘটনার শঙ্কা নেই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। আর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়াই দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন করছেন। এতে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টের পাশাপাশি সহিংসতা তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়বে। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। গতকাল ইসি সচিবালয়ে আলাদা দুটি সংবাদ ব্রিফিংয়ে তারা এসব কথা বলেন।
রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে অবহিত করে সিইসি বরাবর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রদান করে বিএনপি। সিইসির দেখা না পেয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের হাতে চিঠিটি তুলে দেন রুহুল কবির রিজভী।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রিজভী বলেছেন, আমরা জানি পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও (ইউপি) একতরফা নির্বাচন হবে, তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আজকে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানাতে এসেছি। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজ মনে করে দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন হলে সামাজিক সংস্কৃতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। কারণ ইউপিতে প্রার্থীরা ব্যক্তি পরিচয়ে পরিচিত, রাজনৈতিক পরিচয় কাজ করে না।
রিজভী বলেন, বিএনপি মনে করে ইউপিসহ যে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হলে সামাজিক বন্ধন বিনষ্ট হবে। গ্রামে গ্রামে সংঘাত সৃষ্টি হবে। তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে, গণতন্ত্রকে সম্প্রসারিত করতে আমরা ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া এই ক্ষুদ্র পরিসরে নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারবে।
তফসিল হওয়ার পর কেন এ বিষয়ে ইসিকে জানানো হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এর আগে পৌরসভা নির্বাচনে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু ইসি বিষয়টি আমলে নেয়নি।
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, এই সরকার নির্বাচনের মাধমে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে ভোট জালিয়াতি, ডাকাতি এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। তারপরও নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আমরা আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি।
পরে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইসি মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, নির্বাচনী আইন পাস হয়েছে সংসদে। আমরা সেই আইনের আেেলাকে নির্বাচনী আচারণ বিধি ও বিধিমালা প্রণয়ন করেছি। সংসদের আইন আমরা সবাই মানতে বাধ্য। তাই সেই মোতাাবেক নির্বাচন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে ২ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরে আসল পরিবেশ বোঝা যাবে। আর নির্বাচনী তফসিল যেহেতু জেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে ফলে তারাই বিষয়গুলো ভালভাবে মনিটরিং করছেন। আমরা লক্ষ্য রাখছি সার্বিক কাজের তদারকি করছি।
শাহনেওয়াজ বলেন, কোন ধরনের সংঘাতের আমঙ্কা আমরা করছি। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নির্বাচনেও বেশিরভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশ নিয়ে থাকেন। এর চেয়ে বড় পরিসরের নির্বাচন (পৌরসভা) হয়েছে। সেই নির্বাচনের মতো এবারেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।