পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উমর ফারুক আলহাদী : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। বিশেষ বাহিনী নিয়োগ দেয়ার পরেও থেমে নেই চোরাচালান। কথিত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ছে চোরাকারবারীরা। অথচ সাধারণ যাত্রী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রবেশের সময় যতসব কড়াকড়ি তল্লাশি ও বাধাবিঘœ পোহাতে হচ্ছে। গত তিন মাস ধরে দর্শনার্থী ও যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এতে করে সাধারণ যাত্রী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করো হলেও চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঠিকেই নির্বিঘেœ প্রবেশ করছে। এ অভিয়োগ ভুক্তবোগীদের। তারা বলছেন, যাত্রী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়াতে অনেক মহিলা যাত্রীদের লাগেজ ও শিশুদের বহন করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিরাপত্তার অজুহাতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার পরেও চোরাকারবারীদের তৎপরতা থেমে নেই।
বিভন্ন সূত্রমতে, প্রতি সপ্তাহেই বিমানবন্দর দিয়ে আদম পাচার হচ্ছে। আসছে মাদক ও সোনার বড় বড় চালান। যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা। তারপরেও বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। তিনদিন আগে লাগেজ ভর্তি কচ্ছপের চালানটি নিয়ে নিবিঘেœ বিমান বন্দরে প্রবেশের কচ্ছপের ওই চালান চলে যায় লাগেজ মেকআপ এরিয়াতে। বিমানে ওঠার জন্য যখন অপেক্ষা করছিল তখনই তা ধরা পড়ে। তারপর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো কথিত কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে নিরাপত্তা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে কি করে কচ্ছপের চালানটি বিমানের লাগেজ মেকআপ এরিয়াতে গেল। বিমানে ওঠানোর আগে কয়েকটি চেকপোস্ট ও তল্লাশি গেইট কিভাবে পাড় হলো। এ প্রশ্ন সচেতন মহলে। তারা বলছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এখনও হুমকির মুখে। শুধু পাচারকারী চক্রই নয়, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের অপরাধী চক্র অবাধে বিমানবন্দরে প্রবেশ করছে। যাত্রী গেইট, কার্গো ভিলেজ কিংবা কার্গো কমপ্লেক্স সবর্ত্রই অপরাধী চক্রের অবাধ আনাগোনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, অসাধু নিরাপত্তা সদস্যদের ম্যানেজ করে যে কোন কিছু নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করা যায়। শুধু সোনা, মুদ্রা কচ্ছপ, ওষুধপত্র ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীই নয় বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক নিয়েও অবাধে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এমন অনেক প্রমাণও রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে। তারা বলছেন, নিরাপত্তা জনবল বাড়ানোর চেয়ে সৎ, দক্ষ, মেধাবী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল প্রয়োজন। কোন বিশেষ বাহিনী নিয়োগ করলেই এ সমস্যা সমাধান হবে না। অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরে প্রবেশর সময় সকল নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেহ তল্লাশি করা হলেও এপিবিএন ও কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশকালে তল্লাশি করতে দেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে বারবার অভিযোগ করলেও তা কাজে আসছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় সকল সংস্থার সদস্যদের তল্লাশি করার নিয়ম বা বিধান থাকলেও বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএন এবং কাস্টমস তা মানছে না। এ অভিযোগ সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের। ফলে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত তাদের কর্মকা- নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এপিবিএন’র এএসপি আল আমিন বলেন, আমাদের লোকজন স্টাফ গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় চেক করা হয়। তিনি বলেন, আগে কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও এখন চেক করতে কোন বাধা নেই। আমাদের স্যারদের নির্দেশ রয়েছে চেক হওয়ার জন্য।
তবে সিভিল এভিয়েশন বলছে এপিবিএন কোন নিয়মকানুন মানে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিতরে প্রবেশ করতে যাত্রী, দর্শনার্থী এয়ারফ্রেইট কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ এখন চুরি আর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। কথিত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অরক্ষিত হয়ে পড়ছে বিমানবন্দর। বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোন সেট, ইলেক্টনিক্স সামগ্রী, ওষুধপত্র, জামা কাপড় ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য গায়েব হয়ে যাচ্ছে সংরক্ষিত গোডাউন থেকে। এ নিয়ে পুলিশ, র্যাব ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলেও থেমে নেই লুটপাট।
সূত্রগুলো জানায়, গুদাম থেকে বৈদেশিক মুদ্রা গায়েব হওয়ার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। দুর্বৃত্তরা আসল মুদ্রা সরিয়ে একই স্থানে রেখে দিচ্ছে সমপরিমাণ জাল মুদ্রা। বিমানবন্দরে আটক বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার আগে কাস্টমস গুদামের ১০টি লকারে সংরক্ষিত থাকে। গত দু’মাসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রেজিস্টার তল্লাশি চালালে জালিয়াতির বেশ কয়েকটি ঘটনা ধরা পড়ে। একটি লকারে (জিআর নম্বর ১৫০/৮) ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ রুপি জমা রাখা হলেও পরবর্তীতে সেখানে আসল রুপি পাওয়া গেছে মাত্র সাড়ে চার হাজার। বাকি ২৪ লাখ ৯০ হাজার জাল রুপি পাওয়া যায়। একইভাবে (জিআর নম্বর ২২৩/৮) ১৩ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলারের স্থলে ১৩ হাজারই পাওয়া গেছে জাল। আরও একটি লকারের (জিআর নম্বর ৪৩/৯) ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২০ মার্কিন ডলারের স্থলে আসল নোট পাওয়া গেছে মাত্র ২০ ডলার। বাকি এক লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ ডলার পাওয়া যায় জাল।
এছাড়া না পাওয়ায় পণ্যগুলো বিমানবন্দরের রানওয়ের খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে পচতে থাকে। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট কার্টন ভেঙে, পলিথিন খুলে হরহামেশা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে শত শত কোটি টাকার মূল্যবান পণ্য। অরক্ষিত পুরো টার্মিনাল। গার্মেন্ট এক্সেসরিজ, মোবাইল ফোন, কেমিক্যাল থেকে শুরু করে এমন কোনো পণ্য নেই এখান থেকে চুরি আর লুট হচ্ছে না। এক হাজার কোটি টাকার বেশি চুরি ও হারিয়ে যাওয়া মালামালের অভিযোগ বিমানের ক্লেইম শাখায় ফ্লাইলবন্দি হয়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক) নামে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এ নিরাপত্তা বাহিনীতে বিভিন্ন বাহিনীর ২৫০ জন সদস্য বিমানবন্দরের নিয়োগ দেয়া হযেছে। গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সভায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরেই নিরাপত্তা আরো বেশী জোরদার করা হয় এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিমানবন্দরেন নিয়োগ দেয়া হয়। দুই দফায় প্রায় দুই শতাধিক নিয়োগ দেয়া হযেছে। প্রথম দফায় ৪০ জন বিমান বাহিনীর এবং ২০ জন আনসারকে নিয়োগ দেয় হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ৯০ জন বিমান বাহিনীর, ৪০ জন পুলিশ এবং ২০ জন আনসার সদস্যকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের এসব সদস্যসহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও থেমে নেই চোরাচালান। সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালকের অধীনে ২৫০ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন। কিন্তু এ জনবল নিয়োগের পর সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা বিভাগের সদস্য ও ওই বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ঠা-া লড়াই চলছে। সিভিল এভিয়েশনের একাধিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলছেন, একটি বিশেষ বাহিনীর এজেন্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করছেন তাদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে, তাদের বাইপাস করে এ নিয়োগ দেয়া হযেছে।
এদিকে সিভিল এভিয়েশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার আছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া আমাদের দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন এর প্রেক্ষিতে নিরাপত্তাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। কথিত নিরাপত্তার মধ্যে বিমানবন্দর দিয়ে পাচার হচ্ছে কচ্ছপ, বৈদেশিক মুদ্রা। আসছে সোনা ও মাদকের বড় বড় চালান। মাঝে মধ্যে এসব আটক হলেও থেমে নেই পাচারকারী চক্র। এতসব নিরাপত্তার মাঝেও কি করে প্রতিমাসেই চোরাচালানকারী চক্রের সদস্যরা নিরাপদে বিমানবন্দরে প্রবেশ করছে, আবার নিরাপদে বেরিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্নে তোলেছেন একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতেও। কিন্তু কাজের কাজ কিছ্ইু হচ্ছে না বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন কার্গো কমপ্লেক্সের রানওয়েতে গিয়ে দেখা গেছে, আইডি কার্ড, অ্যাপ্রোন কিংবা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছাড়াই শত শত মানুষ কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। অনেকে কনটেইনার থেকে পলিথিন খুলে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ পচা-গলা কাপড়ের বান্ডিল, নষ্ট গার্মেন্টসামগ্রী কুড়িয়ে নিচ্ছে। ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিদেশ থেকে আসা মূল্যবান প্যাকেট-কার্টন ছিঁড়ে মোবাইল সেট, গার্মেন্টসামগ্রী, কেমিক্যাল বের করে ওই প্যাকেটে অন্য দ্রব্যসামগ্রী কিংবা নকল ও ভেজালসামগ্রী ঢুকিয়ে দিচ্ছে। প্রকাশ্যে এভাবে কার্টন খোলার ঘটনা ঘটলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। গ্রিন চ্যানেল গোডাউনে শুল্কমুক্ত মালামাল থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে রাখা হচ্ছে শুল্কযুক্ত মালামাল। সময়মতো লোডার, ট্রলি, ফর্কলিফট না থাকায় সেসব মাল বের করা যায় না। নিয়ম অনুযায়ী টার্মিনালের লোডাররাই মালামাল বের করে দেয়ার কথা। কিন্তু সময়মতো কোনো লোডার পাওয়া যায় না। টাকা ছাড়া তারা কোনো কাজই করে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশন, বিমান, কার্গো টার্মিনালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুরিয়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ, বিমান সিকিউরিট, কাস্টমস, এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন)সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে গড়া একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। আগে বিলসংক্রান্ত সবকিছু ম্যানুয়ালি হতো। সম্প্রতি সব কিছু কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। তারপরেও কিভাবে পণ্যসামগ্রী বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কাস্টমস হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দারা বিভিন্ন সময়ে এয়ারফ্রেইট আমদানি শাখা এবং হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে সোনা, আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ, ভিওআইপি, ইউপিএ আউটডোর, বিদেশি সিগারেট, মাদকদ্রব্য আটক করে। আটককৃত পণ্য ডিএম (ডিটেনশন মেমো) করে তা রাষ্ট্রীয় গুদামে জমা রাখা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট তারিখে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়। এ ছাড়া সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার মতো পণ্য সংশ্লিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে তা ধ্বংস করার নামে পাচার করে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় গত বছর ১ জানুয়ারি দুটি কার্টনে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৩৯ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ক্যান্সারের ওষুধ রাষ্ট্রীয় গুদাম-২ থেকে পাচার হয়ে যায়। চক্রটি ক্যান্সারের ওষুধের পরিবর্তে অন্য নকল ওষুধ ওই কার্টনে ঢুকিয়ে তা ধ্বংস করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যার জিআর নম্বর-০১/১৪। ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০১১ সালে কাস্টমস গোডাউন থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ১০ কেজি সোনার আর খোঁজ মিলেনি। সোনার স্থানে পাওয়া যায় তখন এমিটিশন। কুয়েত এয়ারলাইন্সের (কেএইউ-০২৮৩) যাত্রী জয়নাবুন্নেছার কাছ থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর কাস্টমস গোয়েন্দারা ১০৫ কেজি ওজনের ওষুধসদৃশ বস্তু আটক করে। রাসায়নিক পরীক্ষায় ওই বস্তুগুলো মাদকদ্রব্য হেরোইন বলে প্রমাণ মিলে। কিন্তু পরবর্তীতে আটক এগুলোতে মাদকের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আটকের সাতদিনের মধ্যেই ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে হেরোইনের পুরো চালানটি গায়েব করে ফেলা হয়। গুদামের একই স্থানে রাখা হয় হেরোইনের মতো দেখতে অন্য কোনো বস্তু। এ ঘটনায় কাস্টমসের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। ঢাকা কাস্টমস হাউস গুদামে রক্ষিত এই হেরোইনের চালানের মতোই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে আটক বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা। সোনার স্থলে পাওয়া যাচ্ছে এমিটিশন ও আসল বৈদেশিক মুদ্রার স্থলে জাল মুদ্রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।