পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পরিকল্পনামন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রাণিসম্পদ বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব হবে। পৃথিবীতে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ এখনো দরিদ্র। প্রতি ৯ জনে একজন না খেয়ে ঘুমাতে যান। এ পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বণিক বার্তা ও এসিআই লিমিটেডের বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই খাত থেকে আমরা খাদ্যে পুষ্টি রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি। ২০৩০ সালের আগে দেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করব। প্রাণিসম্পদ খাত আমরা সেভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি। বড় এবং ছোট কোনো খামারিকেই করের আওতায় নিয়ে আসা উচিত নয়।
মুস্তফা কামাল বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকায় টেকসই জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। প্রাণিসম্পদ শ্রম নির্ভর খাত হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য এ খাতটি অপার সম্ভাবনাময় একটি খাত। তিনি প্রাণিসম্পদ খাতকে শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে ছোট বড় সকল খামারীর সম্মলিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রাণিসম্পদকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাণিসম্পদকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি গত সাত বছরে এ খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, কেবল গত দু’বছরেই প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পিপিপি’র আওতায় এ খাতের অগ্রগতির অনেক সুযোগ রয়েছে।
বৈঠকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. কাজী আবদুস সাত্তার বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে জনবলের ব্যাপক সংকট রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং এ্যানিমেল হেলথ খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, পোল্ট্রি শিল্পে বর্তমানে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে আশা করা হচ্ছে এই শিল্পে বিনিয়োগ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ হাতে হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে পলিসি রয়েছে কিন্তু এ্যাকশন প্ল্যান না থাকায় তার সুফল মিলছে না।
ড. আনসারী বলেন, গবাদি পশুর জন্য বেসরকারিভাবে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার। এ জন্য সহজ শর্তে ঋণ সরবরাহ বাড়াতে হবে।
বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা.কাজী আবদুল ফাত্তাহ ও সালেহ উদ্দীন আহমেদ, আফতাব পোলট্রিজ এর ব্যবস্থাপণা পরিচালক আবদুর রহিম, প্রাণ গ্রুপের সিনিয়র কর্মকর্তা আনিসুর রহমানসহ প্রাণিসম্পদ বিশেজ্ঞগণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে আলোচকগণ বলেন, প্রশিক্ষিত জনবল ও প্রয়োজনীয় সক্ষমতার অভাবে প্রাণিসম্পদ শিল্পের কাঙ্গিত লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম প্রধান বাধা। তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি বেসরকারি খাতে প্রাণিসম্পদ চিকিৎসালয় ও উন্নত ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল এর সাথে তার দপ্তরে বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হানি ফুগল এসকজার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা সিএসআরসহ (সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা) পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মত বিনিময় করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।