পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থ পাচার মামলায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রূপন ভুঁইয়াসহ ১১ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিদের ৪ কোটি টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ Ñএর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় এনু-রূপনকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, অর্থ পাচারের অপরাধ সম্পর্কে কিছু বলা প্রাসঙ্গিক। সংগঠিত অপরাধ ও অর্থপাচার নিঃসন্দেহে আইনের শাসন এবং দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিরাট হুমকি। মানি লন্ডারিং এখন একটি গুরুতর অপরাধ।
আদালত বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসার সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান, মূলত সংগঠিত অপরাধের জন্য তাদের নোংরা অর্থ আর্থিক ব্যবস্থায় পাচারের জন্য একটি পেছনের দরজা হযে উঠেছে। অবৈধ জুয়ার কার্যক্রম বিশেষভাবে গুরুতর, কারণ অবৈধ জুয়া থেকে অর্জিত অর্থপাচার, চাঁদাবাজি ও জালিয়াতিসহ অন্যান্য কার্যকলাপে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়।
যদি মানি লন্ডারিং অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণ না করা হয তাহলে আর্থিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। উদীয়মান বাজারে উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই উপযুক্ত শাস্তি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অর্থ পাচারের অপরাধ থেকে বিরত রাখতে পারে। ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের তথ্যমতে চারতলা বাড়ির দোতলা থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৩ Ñএর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি করেন।
এজাহারে বলা হয়, এনু ও রূপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করতে কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। গত বছর ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার, জয় গোপাল সরকার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অন্য ৬ আসামি কারাগারে রয়েছেন। গতকাল রায় ঘোষণাকালে ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।