পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল ইসলাম : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় জি টু জি প্লাস সম্পাদিত চুক্তি রিভিউ করতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত আনাক জায়েমের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। আজই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবার কথা রয়েছে সফররত মালয় মানবসম্পদ মন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে দশ সিন্ডিকেট চক্রের কালো থাবা পড়েছে। এ নিয়ে উভয় দেশের জনশক্তি রফতানিকারক ও আমদানিকারকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারীরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালু করা হলে তাৎক্ষণিভাবে তা প্রতিহত করতে আইনি লড়াইয়ে নামার হুমকি দিয়েছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার একচেটিয়া দখলে নিতে সিন্ডিকেট চক্র আবারো সক্রিয়। দশ সিন্ডিকেট চক্র সাধারণ জনশক্তি রফতানিকারকদের পাশ কাটিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিজস্ব আওতায় রাখতে জোর লবিং চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সিন্ডিকেট চক্রের কাছে মাথা নত না করে সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমবাজার চালুর লক্ষ্যে দু’দফায় ৯৫৭টি বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির নামের তালিকা মালয়েশিয়া সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দ্বার খুলতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। জনশক্তি রফতানিকারকদের কাছ থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ক’দিন আগে বাংলাদেশে সফরে এসে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে গেছেন। ঐ প্রতিনিধিদল বিএমইটিতে কর্মী রফতানির অনলাইন প্রক্রিয়া সরেজমিন পরিদর্শন করে গেছেন। এ বিষয়টি অত্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ভবনে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার পক্ষে মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত আনাক জায়েম স্বাক্ষর করেন। উভয় দেশের মধ্যে জিটুজি প্লাস চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর সফররত মালয়েশিয়ার মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ট আনক জায়েম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে কোনো মনোপলি ব্যবসা হবে না। জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হলে অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া বন্ধ হবে বলেও মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত আনাক জায়েম উল্লেখ করেন। কিন্তু এর একদিন পরই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কোতাকিনাবালু মোয়ারা তুয়াং আর্মি ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমদ জাহিদ হামিদী অভিবাসী কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। এতে কর্মী নিয়োগের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখার সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার গতকাল কুয়ালালামপুর থেকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার যাতে কোনো সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায় সে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমবাজার চালু হলে অভিবাসন ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এবং প্রবাসী কর্মীরা প্রতারণার শিকার হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বায়রার সাবেক মহাসচিব মনসুর আহমদ কালাম গতকাল সোমবার ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। সিন্ডিকেট চক্রের বেড়াজালে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ এই সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হারালে রেমিট্যান্স আয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের আঘাত আসবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত সফল উদ্যোগের কারণেই আজ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবার পথে। বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কোনো কিন্ডিকেটের হাতে চলে যাক এটা প্রধানমন্ত্রী চান না। এ জন্যই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম দু’দফায় মালয়েশিয়া সরকারের কাছে ৯৫৭টি বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির নামে তালিকা পাঠিয়েছে। বায়রার ঐ সাবেক নেতা বলেন, শ্রমবাজার নিয়ে সিন্ডিকেট শুরু হলে আমরা তা প্রতিহত করতে আইনি লড়াইয়ে নামব ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।