পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের জমি থেকে দখলকারীদের উচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু মহল অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। অনেকে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
আমি তাদের উদ্যেশ্যে বলতে চাই মিথ্যা অপপ্রচার করে সত্যঘটনা আড়াল করা যাবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, কোন মহল যদি প্রমাণ করতে পারে আমি ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলাম, কিম্বা আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে তা’হলে আমি মহান সংসদ থেকে পদত্যাগ করবো। গতকাল (সোমবার) বিকেলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কাটামোড়ে সাপমারা ও কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে আদিবাসী এবং বাঙ্গালী মুসলমানদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাটাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন ফকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রধান জাকারিয়া ইসলাম জুয়েল ও আব্দুল লতিফ প্রধান, সাবেক যুবলীগ সভাপতি তাহেদুল ইসলাম রকেট, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ঠান্ডু, আদিবাসী ঐক্যপরিষদের নেতা গৌরাঙ্গ পাহাড়ী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের উপজেলা সভাপতি শৈলেন্দু মোহন রায় স্বপন, সাধারণ সম্পাদক তনয় কুমার দেব, আদিবাসির পারগানা পরিষদের সভাপতি রশেন কিচকু, সাপমার ইউনিয়ন পারগানা পরিষদের সভাপতি চরণ মরমূ প্রমুখ।
সভার শুরুতেই নিহত শ্যামল হেম্রম ও মঙ্গল টুডুর স্মরণে সকলেই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সরকারি ত্রাণ গ্রহণ করেনি ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালেরা
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ও মাদারপুর সাঁওতাল পল্লীতে গতকাল সোমবারেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মিল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের পর কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সাঁওতালদের মাঝে। এ কারণে সরকারি ত্রাণও গ্রহণ করছেন না তারা।
গত ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে মিল কর্তৃপক্ষ আখ কাটা ও উচ্ছেদের ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষোভ বিরাজ করছে জয়পুর ও মাদারপুর সাঁওতাল পল্লীতে। দখলে নেয়া ইক্ষু খামারের ওই অংশে কর্তৃপক্ষ আখ চাষ ও কাঁটা তারের বেড়া দেয়ায় সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বলসহ খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দু’টি ট্রাক সাঁওতাল পল্লীতে গেলেও ওইসব ত্রাণ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয় বাসিন্দরা। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাঁওতালরা বলেছে, তাদের খাদ্যের অভাব নেই। আমরা বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরত চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।