পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে মূল্যস্ফীতি। গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ শতাংশ অতিক্রম করেছে। চলতি অর্থবছরে পর পর তিন মাস গ্রামে ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। যেখানে শহরে ৬ শতাংশের কম ছিল। মার্চ মাসে শহরের তুলনায় গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি। এ সময়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ ও শহরে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে শহরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। একই সময়ে গ্রামে ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ও শহরে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে। শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে সেইভাবে বাড়েনি। শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য আইটেম বেশি ব্যবহার হয়। এ কারণে মূলত শহরেরে তুলনায় গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। তবে, কীভাবে গ্রাম ও শহরে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা যায় সেই জন্য কাজ করছে সরকার।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশে, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশে। খাদ্যখাতে এসময় মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, গত মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ, তবে জানুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। ফলে জানুয়ারি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলেছে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার। তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্যে, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার মার্চ মাসে কম ছিল বলে দাবি বিবিএসের।
বিবিএস দেশের ১৪০টি বাজার থেকে পণ্য দামের তথ্য সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১২টি বাজার রয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গড়ে মার্চ মাসে দাম বেড়েছে চাল, আটা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও হলুদের। এ ছাড়া আলু, বেগুন, ঢেঁড়স ও পেঁপের মতো সবজির দামও বেড়েছে।
বিবিএস থেকে জানা গেছে, যেভাবে নিতপণ্যের দাম বাড়ছে সেইভাবে আয় বা মজুরি বাড়ছে না। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়ছেন ভোক্তা। খাদ্যপণ্য কিনতেই তাদের মজুরির বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে।
গত তিন মাসের মধ্যে জানুয়ারিতে মজুরি বেড়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ও মার্চে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, এ তিন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ৬ দশমিক ১৭ ও ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। বিবিএস মজুরির হার নির্ধারণে কৃষি, শিল্প ও সেবা-বড় এ তিন খাতের ৪৪টি পেশাকে বিবেচনা করে। এর মধ্যে কৃষিখাতের পেশা ১১টি, শিল্পের ২২টি ও সেবা খাতের ১১টি পেশা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।